মাধ্যমিকে কমে গেলেও বাড়ল উচ্চ-মাধ্যমিকে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে প্রায় দেড় হাজার কমলেও আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া উচ্চ-মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় এক হাজার বেড়েছে। পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে পরীক্ষা গ্রহণকেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি শিক্ষক–শিক্ষিকাদের মোবাইল ব্যবহারেও রাশ টানা হয়েছে।
তবে এ সব ব্যবস্থা সত্ত্বেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিদিনই পরীক্ষা শুরুর পর হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তাই এ বার পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল নিয়ে ঢোকা রুখতে স্কুলের প্রবেশপথে এবং ভিতরে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উচ্চ-মাধ্যমিক সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকা বন্ধ করতে কেন্দ্রের প্রবেশপথে অর্থাৎ স্কুলের গেটে মোবাইল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। এছাড়া প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশপথে মোবাইল নিয়ে ঢোকার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সংসদের তরফে পোস্টার দেওয়া হবে। প্রতিটি পরীক্ষা কক্ষেই এবার তিনজন ইনভিজিলেটর থাকবেন। এর মধ্যে একজন থাকবেন কেবলমাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার রুখতে নজরদারি করার জন্য। তিনি পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীরা কেউ মোবাইল নিয়ে ঢুকেছেন কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষাকক্ষে মোবাইল ব্যবহার হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও নজরদারি চালাবেন। পরীক্ষার্থীদের এবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে। প্রথম দিনে অভিভাবকদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্র এবং সংলগ্ন এলাকায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা হচ্ছে। সংসদের তরফে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে এমন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসাবে চিহ্নিত করার ব্যবস্থা হয়েছে। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরে কোনও স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্র নেই বলে পর্যদ সূত্রে খবর।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আমিনুল আহসান বলেন, ‘‘উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে কড়া নজরদারি-সহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’’
উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য জেলাস্তরে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক তথা পানিপারুল মুক্তেশ্বর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরুণকুমার মাইতি বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীরা যাতে ভালভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সে জন্য পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাগ্রহণে যুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকরা পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে যাতে সংসদের নির্দেশিকা মেনে চলেন তার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’’