ছাত্রভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। মেদিনীপুর কমার্স কলেজের সামনে পাহারা। নিজস্ব চিত্র।
সংঘর্ষ-বিক্ষোভের আবহেই ছাত্রভোটের মনোনয়নপর্ব শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুরে।
বৃহস্পতিবার কেশপুরে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-র দুই গোষ্ঠী। বেলদা কলেজে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় ডিএসও। ডিএসও- র দাবি, তাদের মনোনয়ন তুলতে দেওয়া হয়নি। দু’দিনের মনোনয়নপর্ব শেষ হবে আজ, শুক্রবার। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে জেলার প্রায় সব কলেজের সামনেই পুলিশ মোতায়েন ছিল।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সব কলেজে ছাত্রভোট হবে আগামী ২০ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপর্ব শুরুর দিন। কেশপুরে বিরোধীপক্ষ নেই। তবে টিএমসিপি-রই একাধিক গোষ্ঠী সক্রিয়। এ দিন দুপুরে সেখানে সংঘর্ষে ছড়ায় দু’পক্ষ। শুরুতে বচসা বাধে। বচসা থেকে মারামারি। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। সংঘর্ষে টিএমসিপির এক নেতা গুরুতর জখম হন।
বেলদা কলেজে ডিএসও-কে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। ডিএসও- র জেলা সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়েক বলেন, “ডিএসও মনোনয়ন জমা দিলে টিএমসিপি-র হার নিশ্চিত। তাই ভয় দেখিয়ে, কাউন্টার অবরোধ করে ডিএসও- কে মনোনয়নে বাধা
দেওয়া হয়েছে।”
সব অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভানেত্রী দেবলীনা নন্দী বলেন, “বেলদা কলেজে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ডিএসও মিথ্যা অভিযোগ করছে। জেলার সব কলেজে সুষ্ঠু ভাবেই মনোনয়ন শুরু হয়েছে।”
কেশপুরে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের কথাও মানতে নারাজ দেবলীনা। তাঁর কথায়, “এমন কিছু হয়নি! হলে জানতে পারতাম!” একসুর তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানেরও। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ পৌঁছয়নি? সঞ্জয়বাবুর জবাব, “কেশপুরে সংঘর্ষের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ তো সকাল থেকেই ছিল!”
আজ, শুক্রবার মনোনয়নের শেষ দিন। এ দিনও জেলার কয়েকটি কলেজে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে শুক্রবারও কলেজগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।