কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন, গরহাজির সূর্য

জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এখানে মনোমালিন্যের কোনও ব্যাপার নেই। কর্মাধ্যক্ষের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১১
Share:

কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের পর। শুক্রবার মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র

অন্য বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষদের ‘পুনর্বাসনের’ ব্যবস্থা হলেও একমাত্র তাঁরই ‘পুনর্বাসনের’ ব্যবস্থা হয়নি! সেই সূর্যকান্ত অট্ট শুক্রবার গরহাজির থাকলেন জেলা পরিষদের সভায়। যে সভায় নতুন কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হল।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে জেলা পরিষদে এক সভায় কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হয়। সভায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌর মন্ডল, জেলা পরিষদের সচিব প্রবীর ঘোষ প্রমুখ। ছিলেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি প্রমুখ। আগে একদফায় স্থায়ী সমিতি গঠন হয়েছিল। পরে দলের নির্দেশে স্থায়ী সমিতি থেকে পদত্যাগ করেন ১১ জন। পরে একদফায় স্থায়ী সমিতির পুনর্গঠন হয়। আর শুক্রবার কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হল।

কারা কর্মাধ্যক্ষ হবেন, কারা হবেন না, দলীয়স্তরে তা আগেই ঠিক হয়েছিল। সবকিছু সেই মতোই হয়েছে। পুরনো চারজনকে এ বার আর কর্মাধ্যক্ষ করা হয়নি। এই চার জন হলেন সূর্যকান্ত অট্ট, কাবেরী চট্টোপাধ্যায়, হামিদ কাজী এবং তপন দত্ত। নতুন চারজনকে কর্মাধ্যক্ষ করা হয়েছে। এই চার জন হলেন রমাপ্রসাদ গিরি, নেপাল সিংহ, প্রতিভা মাইতি এবং মামনি মান্ডি। রমাপ্রসাদ কৃষি-সেচ কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন, নেপাল বন-ভূমি, প্রতিভা নারী-শিশুকল্যাণ, মামনি শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন। পুরনো যাঁরা ছিলেন, এ বারও আছেন, তাঁদের দফতর বদলেছে। অমূল্য মাইতি খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন। শৈবাল গিরি বিদ্যুৎ, শ্যামপদ পাত্র জনস্বাস্থ্য, জারিনা ইয়াসমিন মৎস্য-প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন।

Advertisement

দলের এক সূত্রে খবর, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষদের মধ্যে ‘পুনর্বাসনের’ সূত্রে অধ্যক্ষ হবেন তপন দত্ত। উপাধ্যক্ষ হবেন কাবেরী চট্টোপাধ্যায়। আর দলনেতা হবেন হামিদ কাজী। এ দিনের সভায় তো সূর্যকান্ত অট্ট গরহাজির ছিলেন? কেন? মনোমালিন্য থেকেই কি তিনি গরহাজির থাকলেন? জেলা সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘সূর্য এ দিন আসেনি। ও যে সভায় আসতে পারবে না আগেই জানিয়েছিল।’’ অজিতের সংযোজন, ‘‘আসলে ওর শরীরটা একটু খারাপ।’’ চেষ্টা করেও সূর্যকান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন ধরেননি।

জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এখানে মনোমালিন্যের কোনও ব্যাপার নেই। কর্মাধ্যক্ষের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement