অন্ধকারে সেতু। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার পথে এই সেতুতে পর্যটকদের গাড়ি এবং বাস-লরির যাতায়াত লেগেই থাকে। কিন্তু অভিযাগ, নরঘাটে হলদি নদীর উপরে ওই সেতু সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ডুবে যায়। গত দু’সপ্তাহ ধরে ওই সেতুর উপরে থাকা পথবাতি জ্বলে বলে অভিযোগ গাড়ি চালকদের। ফলে সেতুতে দুর্ঘটনার পাশাপাশি, দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যেরও আশঙ্কা করছেন তাঁরা। পুলিশেরও দাবি, আলো বন্ধ থাকায় সন্ধ্যার পর সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, হলদি নদীর উপর সেতুটি (শহিদ মাতঙ্গিনী সেতু) নির্মাণ করেছিল রাজ্য সরকার। ১৯৮২ সালে সেতুর উদ্বোধন হয়। বছর তিনেক আগে নন্দকুমার থেকে দিঘা হয়ে ওড়িশার জলেশ্বর পর্যন্ত ৯১ কিলোমিটার সড়ককে ১১৬ বি জাতীয় সড়ক হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তার পরে ওই রাস্তা এবং ওই সেতুর গুরুত্ব কয়েকগুণে বেড়ে গিয়েছে।
বর্তমানে নন্দকুমার থেকে চণ্ডীপুর হয়ে বাজকুল পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণ চলছে। সে জন্য ওই অংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। কিন্তু হলদি নদীর সেতুর আলো বন্ধ থাকায় গাড়ি চালকদের সমস্যা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ। চণ্ডীপুরের গাড়িচালক শ্রীমন্ত দাস বলেন, ‘‘বেশ কিছুদিন ধরে সেতুর আলো বন্ধ। সন্ধ্যার পরে অন্ধকারে সেতু পার হতে গাড়ির আলোই ভরসা। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরাও আক্রমণ করতে পারে।’’ নন্দকুমারের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘সেতু অন্ধকার থাকায় যান নিয়ন্ত্রণেও সমস্যা হয়।’’
জেলা বিদ্যুৎ দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘হলদি সেতুর উপর পথবাতিগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে চণ্ডীপুরের দিক থেকে। ওই এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণ চলছে। তাই বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। ফের সেতুর বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দ্রুত কাজ চলছে।’’
নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস বলেন, ‘‘হলদি সেতুর আলো বন্ধ রয়েছে বলে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ রাজ্য পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক (এনএইচ ডিভিশন–২) বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার তরুণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওখানে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ হচ্ছে। বিদ্যুতের লাইনের কাজও হচ্ছে। তাই হলদি সেতুর আলো বন্ধ। দ্রুত যাতে আলোর ব্যবস্থা করা যায়, সেই চেষ্টা হচ্ছে।’’