চারমূর্তির হাত ধরেই নয়া হোম স্টে 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলপাহাড়ি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১২
Share:

মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে হোম-স্টে। কাঁকড়াঝোরে। নিজস্ব চিত্র

‘চারমূর্তি’-র হাত ধরে এবার এবার কাঁকড়াঝোরে বেসরকারি বিনিয়োগে শুরু হল চোখ ধাঁধানো হোম স্টে। বেলপাহাড়ির পাহাড়ে ঘেরা কাঁকড়াঝোর গ্রামে স্থানীয় এক বাসিন্দার জমি লিজ নিয়ে সেটি চালু করল কলকাতার একটি পর্যটন সংস্থা।

Advertisement

কাঁকড়াঝোর গ্রামের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ওই হোম স্টে-র দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন জমির মালিক মধুসূদন মাহাতো ও ঠাকুরদাস মাহাতো। ১৯৭৮ সালে বাংলা ছবি ‘চারমূর্তি’ তৈরি হয়েছিল নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদার কাহিনি অবলম্বনে। ওই ছবির বেশ কিছু অংশের দৃশ্যগ্রহণ হয়েছিল কাঁকড়াঝোরে। ছবিতে গাড়োয়ানের একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মধুসূদন ও ঠাকুরদাসের জেঠু প্রয়াত গোপীনাথ মাহাতো। নতুন হোম স্টে-র ভবনটি পাকা বাড়ি হলেও দেখলে মনে হবে গ্রামীণ বাড়ি। ভিতরে আধুনিক ব্যবস্থা। ভিতরের অঙ্গসজ্জায় রয়েছে টেনিদা-র কাহিনির নানা ছবি ও সেই বিখ্যাত উক্তি ‘ডিলা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস’। ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমানা লাগোয়া পাহাড়ি গ্রাম কাঁকড়াঝোড়ের প্রাকৃতির সৌন্দর্যের টানে এক সময় বহু পর্যটক আসতেন। ২০০৪ সালে মাওবাদীরা কাঁকড়াঝোরের সরকারি বন বাংলো মাইন ফাটিয়ে ধ্বংস করে দেয়। তারপর থেকে সেখানে থাকার উপযুক্ত জায়গা ছিল না। ফলে কাঁকড়াঝোর বেড়িয়ে ফিরে আসতেন পর্যটকেরা। প্রয়াত গোপীনাথ মাহাতোর মাটির বাড়িতে ‘মাহাতো লজ’ চলত। এখনও সেটি চললেও সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। নতুন হোম স্টে-তে অবশ্য ১৫ জনের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে তাঁবুতেও ‘অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাঁকড়াঝোরে বিনিয়োগকারী বেসরকারি সংস্থার দুই কর্তা সিন্টু ভট্টাচার্য ও শুভ্রাংশু ভাণ্ডারী বলেন, ‘‘যে সব এলাকায় পর্যটকদের থাকার জায়গা নেই, তেমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এলাকায় আমরা হোম স্টে করি। ওড়িশার বাংরিপোসি, উত্তরবঙ্গের ঝাণ্ডি, সুন্দরবনের মৌসুমি দ্বীপে আমাদের হোম স্টে রয়েছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন কাঁকড়াঝোর।’’

সরকারি উদ্যোগে কাঁকড়াঝোরে একটি পর্যটক আবাস তৈরির কাজ সবে শুরু হয়েছে। বাঁশপাহাড়ি পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ওই আবাস তৈরি হচ্ছে। কাজ শেষ হতে দেরি আছে। চলতি মরসুমে বেসরকারি উদ্যোগে নতুন হোম স্টে চালু হওয়ায় পর্যটকরা উপযুক্ত পরিবেশে থাকতে পারবেন। ওই পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করা যাচ্ছে। পর্যটন দফতর স্বীকৃত ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজমের মাধ্যমেও নতুন হোম স্টে-র বুকিং হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম-এর কর্ণধার সুমিত দত্ত বলেন, ‘‘বেসরকারি বিনিয়োগে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে কিছু হোম স্টে হয়েছে। কাঁকড়াঝোরে উপযুক্ত জায়গা ছিল না। নতুন হোম স্টে চালু হওয়ায় কিছুটা সুরাহা হল।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement