ঘটনাস্থলে ভিড়। নিজস্ব চিত্র
খেতের পাশে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হল এক সদ্যোজাত শিশুকন্যার মৃতদেহ। রবিবার খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই শিশুর দেহ দেখতে পেয়েই পুলিশে খবর দেন। যদিও তাঁদের অভিযোগ, গ্রামীণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে দেরি করেছে।
খড়্গপুর শহর ঘেঁষা গ্রামীণ থানার ঘাগরা পড়িয়াপাড়ায় একটি চাষের জমির ধারে সদ্যোজাতের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় সাত সকালেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিশুটির গায়ে গজের কাপড় জড়ানো ছিল। ফলে তাঁদের ধারণা আশপাশের কোনও নার্সিংহোম থেকে এনে ফেলে দেওয়ায় হয়েছে শিশুটিকে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দেহটি একদিন বয়সী শিশুকন্যার। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিশুর দেহ উদ্ধারের ঘটনা লোক মুখে চাউর হতেই ঘাগরার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ভিড় জমাতে থাকেন। পাশের বালিয়া, তালবাগিচা, গোপালি এলাকা থেকেও বহু মানুষ মাঠে চলে আসেন। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, পুলিশ আগে এলেই এমনটা হত না। কিন্তু পুলিশের দাবি, রাস্তা খুঁজে পেতে অসুবিধার কারণেই তারা ঘণ্টা খানেক দেরি হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বাসিন্দারা দাবি তোলেন, একটি শিশুর দেহ কী ভাবে লোকালয়ের মধ্যে পড়ে রইল তা তদন্ত করতে হবে পুলিশকে।
স্থানীয় বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুমন কুঁইল্যা বলেন, “কেউ বুঝতে পারছে না কী ভাবে একটি সদ্যোজাত শিশু এই এলাকায় পৌঁছল।” স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এলাকায় নানা অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ বাড়ছে। বাইরের কেউ এসে শিশুটিকে ফেলে দিয়ে যেতে পারে বলে মনে হচ্ছে। আবার অনেকেই বলছেন, নার্সিংহোমগুলো এ ভাবেই শিশুর দেহ ফেলে দেয় যেখানে সেখানে।
সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া নার্সিংহোম থেকে শিশু পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য জুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে সিআইডি। তার পরে এ দিন খড়্গপুরের রাস্তায় সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।