লড়াই জিতে খুশি দেবার পড়শিরাও

প্রায় দু’মাস লড়াইয়ের পর জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ওঁরা। একরত্তি ছেলেটাকে বাঁচাতে মাছ দোকানের কর্মী বিজয় সাউ, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শম্ভু সিংহ, রং মিস্ত্রি সন্তোষ দে, সঞ্জয় রুইদাসরাই উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৬ ০১:২৩
Share:

প্রায় দু’মাস লড়াইয়ের পর জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ওঁরা। একরত্তি ছেলেটাকে বাঁচাতে মাছ দোকানের কর্মী বিজয় সাউ, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি শম্ভু সিংহ, রং মিস্ত্রি সন্তোষ দে, সঞ্জয় রুইদাসরাই উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আর তার জেরেই ঝাড়গ্রাম শহরের দেড় বছরের দেবা নামাতার চিকিৎসা শুরু হয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisement

ডান চোখে ক্যানসার হয়েছে দেবার। ঝাড়গ্রাম শহরের বেনাগেড়িয়ার বাসিন্দা দেবার রঞ্জিত নামাতা পেশায় ট্রলিচালক। ছেলেকে বাঁচাতে গত দু’মাসে বার দশেক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ঘুরেও ছেলেকে ভর্তি করতে পারেননি রঞ্জিতবাবু ও তাঁর স্ত্রী কাজলদেবী। যখন সব আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখনই এগিয়ে আসেন পড়শিরা। রঞ্জিতবাবু বলেন, “কলকাতায় ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ ছিল না। পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্যে ছেলেকে বেশ কয়েকবার কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলাম। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ছেলেকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করাতে পেরেছি। পুরো কৃতিত্বটাই পাড়া প্রতিবেশীদের এবং ঝাড়গ্রামের কয়েকজন সহৃদয় ব্যক্তির।”

রঞ্জিতবাবুর পড়শি বিজয় সাউ, শম্ভু সিংহ-রা জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীকে কীভাবে কোন ঠিকানায় চিঠি পাঠাতে হবে, কিছুই জানতেন না তাঁরা। বিজয়বাবুর কথায়, “ঝাড়গ্রাম শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনোজ দাস বিষয়টি শুনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আমাদের বক্তব্য শুনে উনি আবেদনপত্র লিখে দেন। তিনিই আবেদনপত্রটি মুখ্যমন্ত্রীকে মেল করে দেন।” সেই আবেদনপত্র পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন আসে। তারপর বৃহস্পতিবার দেবাকে ভর্তি নিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ। মনোজবাবু বলেন, “শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়েছে, সেটাই আমাদের সবার বড় প্রাপ্তি। মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement