প্রতীকী ছবি।
মদের নেশা সর্বনাশা!
মন্দিরে চুরি করতে এসে আপ্তবাক্যটি হাড়ে হাড়ে টের পেল এক চোরবাবাজি। ‘অপারেশন’ শেষে সে চোখে নেমে এসেছিল রাজ্যের ঘুম। সাতপাঁচ না ভেবে মন্দিরের ভিতরেই ঘুমিয়ে পড়েছিল সে। সকালে ঘুম ভাঙতেই বমার পাকড়াও বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক। জুটল গণপিটুনিও।
শুক্রবার এই কাণ্ড ঘটেছে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বাবুখাঁবাড় গ্রামে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই যুবক গ্রামের শীতলা-চণ্ডী মন্দিরে ঢুকে পড়েছিল। অভিযোগ, সে মন্দিরে বিগ্রহের গয়না চুরি করতেই এসেছিল। সেই মতো সোনা, রুপোর গয়না খুলেও নিয়েছিল। পরে সেই সব অলঙ্কার এবং পুজোয় ব্যবহৃত কাঁসা-পিতলের বাসনকোসন একটি থলেতে ভরে মন্দিরের দালানেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। পাশেই রাখা ছিল থলেটি।
ভোরে কয়েকজন বাসিন্দার চোখে পড়ে বিষয়টি। তাঁদের দেখে ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করে। প্রায় দুই কিলোমিটার ধাওয়া করে স্থানীয়েরা তাকে ধরে ফেলে। পরে মন্দির লাগোয়া মাঠে তাকে নিয়ে এসে চলে গণপিটুনি। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। স্থানীয়দের দাবি, অত্যধিক মদ্যপান করেছিল ওই যুবক। নেশার ঘোরেই সে চুরির পরে আর পালাতে পারেনি। মন্দিরের দালানে ঘুমিয়ে পড়েছিল।
নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম প্রদীপ জানা। সে পাশের গ্রাম কালুক বৃন্দাবনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে মন্দিরের গয়না এবং কাঁসা-পিতলের বাসনও উদ্ধার হয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সোনার গয়নাগুলি এখনও পাওয়া যায়নি।
এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় অবশ্য গণপিটুনির দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে নন্দীগ্রামে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তকে পুলিশ আটক করেছে। তবে গণপিটুনির কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’