রাস্তায় জমে আবর্জনা। পুরসভার সাফাইকর্মী তা পরিষ্কার করতে এসেছিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা ওই সাফাইকর্মীর হাতে ২০ টাকা হাতে গুঁজে পরিষ্কার করিয়ে নিলেন নিজের বাড়ির নর্দমা।
খড়্গপুর শহরে এই ছবি বড্ড চেনা। পুরসভার সাফাইকর্মীদের নির্দিষ্ট পোশাক না থাকায় শহরের একাংশ বাসিন্দা তাঁদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নিতেন। ফলে, সাফাইকর্মীর নির্দিষ্ট কাজ আর করা হত না। তাতে রাস্তায় জমত আবর্জনা। তাছাড়া, ভ্যাট থেকে আবর্জনা সরাতে গিয়ে পোকামাকড়ের কামড় খেতে হত সাফাইকর্মীদের। পরিস্থিতি বদলাতে এ বার তাই চারশো সাফাইকর্মীকে নির্দিষ্ট পোশাক বিলির সিদ্ধান্ত নিলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। সরাসরি হাত দিয়ে আবর্জনা সাফাই করেন, এমন ৪০ জনকে গামবুট ও গ্লাভসও দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট পোশাক পড়েই এখন থেকে কাজ করতে হবে সাফাইকর্মীদের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও পুরসভায় এখনও পর্যন্ত এমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে খড়্গপুরই পথিকৃৎ। রেলশহরের পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর প্রদীপ দাস বলেন, ‘‘এই পোশাক পেলে আমাদের সাফাইকর্মীদের সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। ফলে কোনও সাফাইকর্মী পুরসভার কাজ ছাড়া কারও ব্যক্তিগত কাজ করতে পারবেন না। পায়ে গামবুট আর হাতে গ্লাভস থাকায় কাজ করাও সহজ হবে।” খড়্গপুর পুরসভার চারশো সাফাইকর্মীর প্রায় অর্ধেকই অস্থায়ী। পুরসভার প্রতীক দেওয়া নির্দিষ্ট পোশাক পেলে তাঁরাও পরিচিতি পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। পুজোর আগেই পুরসভা ওই পোশাক বিলি করবে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে সকলকে একটি করে পোশাক দেওয়া হবে। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আমরা সাফাইকর্মীদের পরিচিতি দিতে এই পরিককল্পনা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে একটি করে পোশাক দেওয়া হবে। একবার ব্যবস্থা চালু হলে পরে আরও পোশাক বিলির চেষ্টা করব।’’