জবরদখল হঠাতে পুর-কৌশল

পুরসভার জমি দখল হয়ে গিয়েছে। সেই জমি পুনরুদ্ধার করতে সেখানে শপিং মল, আবাসন, হাসপাতাল গড়তে উদ্যোগী হয়েছে খড়্গপুর পুরসভা। মঙ্গলবার কলকাতার একটি সংস্থাকে সেই জমি দেখান পুর-কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৭ ০০:১০
Share:

আশ্বাস: চণ্ডীপুরে পুরসভার জমি দখলকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। নিজস্ব চিত্র

পুরসভার জমি দখল হয়ে গিয়েছে। সেই জমি পুনরুদ্ধার করতে সেখানে শপিং মল, আবাসন, হাসপাতাল গড়তে উদ্যোগী হয়েছে খড়্গপুর পুরসভা। মঙ্গলবার কলকাতার একটি সংস্থাকে সেই জমি দেখান পুর-কর্তারা। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)- এ এই কাজ হবে। এ দিন কলকাতার ওই সংস্থার কর্তারা মীরপুর, চণ্ডীপুর ও গিরি ময়দানের কাছে বিদ্যাসাগর আবাসনের জমি ঘুরে দেখেন। তবে চণ্ডীপুরের জমি থেকে কী ভাবে জবরদখল হঠানো হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুরসভার দাবি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেই সরানো হবে জবরদখল।

Advertisement

রেলশহর খড়্গপুরের মধ্যভাগের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে রেলের জমি। রেলের অফিস ভবন, কোয়ার্টার বাদ দিয়েও বহু ফাঁকা জমি রয়েছে। ওই ফাঁকা জমিতে উন্নয়নমূলক কাজের অভাবে বেড়েছে জবরদখল। পুরসভার বেশ কিছু ফাঁকা জমিও জবরদখল হয়েছে। শহরের উন্নয়নে জোর দিয়ে সেই জমিই ফিরে পেতে চাইছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আমরা শহরের উন্নয়নের জন্য ওই জমি পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছি। পিপিপি মডেলে ওখানে শপিংমল, হাসপাতালের মতো নানা উন্নয়নমূলক কাজ করব। এতে বহু সংস্থা আগ্রহ প্রকাশ করেছে।”

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামের মাটি থেকেই শুরু ভোটের প্রচার

Advertisement

ইতিমধ্যে খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর আবাসন দখলমুক্ত করা গিয়েছে বলে পুরসভার দাবি। তবে চণ্ডীপুরের জমিতে প্রায় ৩৫টি পরিবার কয়েক দশক ধরে বসবাস করছে। তারা কিন্তু জমি ছাড়তে নারাজ। এ দিন জমি পরিদর্শনের সময়ও ওই জবরদখলকারীরা প্রশ্ন তোলেন। পুরপ্রধান অবশ্য তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। প্রদীপবাবু বলেন, “ওই জমি পুরসভার। আশা করছি, ওঁরা উন্নয়নের স্বার্থে জমি ছেড়ে দেবে। আমরা ওঁদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করব।”

জবরদখল করা ওই জমির বাসিন্দা রঘু মুদলি, সমীর দে-রা বলেন, “পুরপ্রধান বলেছেন এখানে হাসপাতাল হবে। আমাদের জমি বাদ দিয়ে বাকি অংশে হাসপাতাল হোক আমরাও চাই। তবে পুনর্বাসন চাইনা। এই জমি ছেড়ে কোথাও যাব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement