প্রেক্ষাগৃহ তৈরিতে খড়গপুর আইআইটির সাহায্য নিচ্ছে পুরসভা।
শহরে উপযুক্ত প্রেক্ষাগৃহ নেই। দীর্ঘ দাবির পরে গত ডিসেম্বরে শহরে এসে প্রেক্ষাগৃহ তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই ওই প্রেক্ষাগৃহ গড়তে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এ বার খড়্গপুরে প্রেক্ষাগৃহ গড়তে খড়্গপুর আইআইটির স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের সাহায্য নিতে চলেছে পুরসভা ও পূর্ত দফতর। পুরসভা সূত্রে এমনই খবর জানা গিয়েছে।
দিন পনেরো আগেই আইআইটির স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের থেকে প্রেক্ষাগৃহের নকশা চাওয়া হয়েছে। ওই নকশা পেলে প্রেক্ষাগৃহের পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। পরিকল্পনা অনুমোদনের পরেই টেন্ডার ডাকা হবে। সবমিলিয়ে এই প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও একমাস সময় লাগতে পারে। পুরসভার তত্ত্বাবধানে ওই প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হলেও নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরকে। প্রায় বারোশো আসন বিশিষ্ট ওই প্রেক্ষাগৃহ গড়া হবে আধুনিক প্রযুক্তিতে। শব্দ প্রতিধ্বনি রোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে এই প্রেক্ষাগৃহে। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আইআইটির থেকে শুধুমাত্র স্থাপত্যের নকশা চাওয়া হয়েছে। তবে কাঠামোগত নকশা পূর্ত দফতরই তৈরি করবে বলে জানানো হয়েছে।
শহরে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল রয়েছে। প্রতিবছর বিভিন্ন সংস্থা তাঁদের বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু ভাল মঞ্চ ও প্রেক্ষাগৃহের অভাবে বিপাকে পড়তে হয় সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলিকে। পুরসভার কাছে তাই প্রেক্ষাগৃহের দাবি জানিয়েছিল সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলি। গত বিধানসভা উপ-নির্বাচনে সেই পুরপ্রধান প্রার্থী হওয়ায় দাবি আরও জোরাল হয়। তার পরে জয়ের কৃতজ্ঞতা জানাতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরবাসীকে প্রেক্ষাগৃহ উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। বরাদ্দ করেন ৫ কোটি টাকা।
খড়্গপুর শঙ্খমালার সম্পাদক কৃশানু আচার্য বলেন, “আমরা যাঁরা সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সকলেই এই শহরে প্রেক্ষাগৃহের আশায় রয়েছি। হচ্ছে-হবে বলে ফেলে না রেখে দ্রুত যেন নির্মাণকাজ শেষ করে প্রেক্ষাগৃহ চালু করা হয়।”
পুরসভা সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে জমি নিয়ে ভাবনা থাকলেও তা কেটে গিয়েছে। ঠিক হয়েছে, শহরের বিদ্যাসাগর আবাসনের জীর্ণ ভবন ভেঙে ওই জমিতেই বিশালাকার এই প্রেক্ষাগৃহ গড়া হবে। সম্প্রতি পুরসভার শেষ বোর্ড মিটিংয়ে সর্বসম্মতিতে ওই বিদ্যাসাগর আবাসন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
পুরপ্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, “আমরা প্রেক্ষাগৃহ গড়তে আইআইটির সাহায্য নিচ্ছি। খুব দ্রুত পরিকল্পনা অনুমোদন করে কাজ চালুর লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি।”
বিষয়টি নিয়ে পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অম্বিকা পাত্র বলেন, “প্রেক্ষাগৃহের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকেই আইআইটির সঙ্গে কথা বলেছে। প্রেক্ষাগৃহ দেখতে কেমন হবে তার স্থাপত্যগত নকশা আইআইটি আমাদের দেবে। আমরা কাঠামোগত নকশা করব। মাস খানেকের মধ্যে টেন্ডার হয়ে যাবে।”