হাসপাতাল সুপারের কাছে নার্সরা। —ফাইল চিত্র।
চিকিৎসার গাফিলতিতে নার্স মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার শোরগোল পড়ে যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃতার পরিজনেদের অভিযোগ, মেডিক্যালে কর্মরত তৃপ্তি দিণ্ডা নামে ওই নার্সক চিকিৎসক এমআরআই করানোর কথা বলেছিলেন। যদিও তা করানো হয়নি। মেডিক্যাল সূত্রে খবর, এ বার ওই এমআরআই সেন্টারও তদন্তের আওতায় আসবে।
চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে মঙ্গলবার হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করেছিলেন নার্সরা। বুধবার মেডিক্যালে কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডুকে ঘেরাও করেন তাঁরা। দুপুর থেকে ঘেরাও শুরু হয়। রাত পর্যন্ত চলে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটি এমআরআই সেন্টারের ভূমিকাও খতিয়ে দেখবে।’’ তিনি মানছেন, ‘‘আগেও ওই সেন্টার নিয়ে অভিযোগ এসেছে। কেন ওই সেন্টার এমআরআই না করে রোগী ফিরিয়েছে তদন্তে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ মেডিক্যালের এক আধিকারিকও বলছেন, ‘‘এই সেন্টার নিয়ে আগেও কিছু অভিযোগ এসেছিল। সেন্টারকে সতর্কও করা হয়েছিল। তারপরেও কেন এমন হল তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
গত শুক্রবারও কাজে যোগ দিয়েছিলেন তৃপ্তিদেবী। তিনি এসএনসিইউ- তে কাজ করতেন। ওই দিন হাসপাতালেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। পরিজনেরা এসে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। বাড়ি ফেরার পর অসুস্থতা বাড়ে। শারীরিক অবস্থা দেখে গত শনিবার তৃপ্তিদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনেরা। মতার পরিজনেদের অভিযোগ, সোমবার তৃপ্তিদেবীর এমআরআই করানোর কথা ছিল। সেই মতো তৃপ্তিদেবীকে নিয়ে যাওয়া হলেও এমআরআই করা হয়নি। মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় বাড়ি মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ির বাসিন্দা ওই নার্সের।
মৃতার দেহ নিয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত টানাপড়েন চলে। মেডিক্যাল থেকে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানায়, আগে ময়না তদন্ত হবে। পরিজনেরা ময়না তদন্তে রাজি হননি। টানাপড়েনের জেরে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় দেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ চলে। পরে অবশ্য ময়না তদন্ত না করেই দেহ নিয়ে যান পরিজনেরা। বুধবার মেদিনীপুরে অবস্থান করেন নার্সরা। এসেছিলেন নার্সেস ইউনিটের রাজ্য সম্পাদিকা পার্বতী পাল। তিনিও চিকিৎসা ঠিক মতো না হওয়ার অভিযোগ তোলেন।