CPIM

মমতা ও শুভেন্দুর সমালোচনায় সরব সেলিম

বিক্ষোভ সভায় ছিলেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অনাদি সাহু, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বামফ্রন্টের রাজ্য-জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫৮
Share:

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

Advertisement

সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অফিসের সামনে জেলা বামফ্রন্টের অবস্থান-বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। বিক্ষোভ সভায় সেলিম বলেন, ‘‘১২ বছরে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হল না। যাদের স্কুলে পড়ানোর কথা তাঁরা রাস্তার ধারে ধর্না দিচ্ছেন। আর লাখ লাখ টাকায় শাসকদলের একদল এজেন্সি তৈরি হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী থেকে, মুখ্যমন্ত্রী থেকে, কালীঘাট থেকে, একদম পঞ্চায়েতে ও পুরসভায় চাকরি নিলাম করার এজেন্সি খুলেছিল।’’ ধর্মের জিগির দিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও সমালোচনা করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘আজকে মমতা, শুভেন্দু, মুকুল আলাদা হতে পারে। এরা তো একসঙ্গেই রাজনীতিটা করেছে। এটাকেই বলে জয়েন্ট স্টক কোম্পানী। ২০১৮ সালে এই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের নেতা ছিলেন। তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। আর পুলিশকে নিয়ে, গুন্ডা বদমাইশকে নিয়ে তারা মানুষের ভোট কড়েছে। এখন বিজেপিতে গিয়েছে। আর কোনও কোনও লোককে বলছে তৃণমূলটা খুব খারাপ।’’ আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সেলিম বলেন, ‘‘অর্জুন সিংহ, এমপি, মুকুল রায়, এমএলএ, বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির মন্ত্রী ছিল। এখন তৃণমূলের রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছে। তারা আরামসে এ দল থেকে সে দলে যায়। এই শুভেন্দুর বাপ, ভাই নামে তৃণমূলের এমপি, ওদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। একজন আদিবাসী মহিলাকে বলা হচ্ছে তুমি পঞ্চায়েতের সুবিধা পাবে না শুদ্ধিকরণ করতে হবে। তাঁকে দণ্ডি কেটে তৃণমূল অফিসে যেতে হবে। এরা মানুষের অমর্যাদা করছে।’’

বিক্ষোভ সভায় ছিলেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অনাদি সাহু, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বামফ্রন্টের রাজ্য-জেলা নেতৃত্ব। বামফ্রন্টের জেলা কমিটির তরফে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement