ভ্রাম্যমাণ শিবিরে চলছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। চণ্ডীপুরে। নিজস্ব চিত্র।
‘স্বাস্থ্যসাথী’ ও ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ সহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন পত্র তোলা ও জমা দেওয়ার জন্য চতুর্থ দফায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির শুরু হল জেলায়। এবার কৃষকবন্ধু ও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
শনিবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন ব্লকে শিবির শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন জেলায় ১৩২টি এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হয়েছে। এবার প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট জায়গায় শিবির করার পাশাপাশি এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’-এর ভ্রাম্যমাণ শিবিরেরও আয়োজন করা হচ্ছে। তবে কালবৈশাখীর জেরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার খোলা জায়গায় শিবির করা হচ্ছে না। পরিবর্তে স্কুলভবন বা বড় হলঘরে শিবির হচ্ছে।
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার থেকে জেলায় চতুর্থ দফার ‘দুয়ারে সরকার’ শুরু হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে বাসিন্দাদের আবেদন করার জন্য প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় নির্দিষ্ট শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবির করা হবে। তবে এই সময়ে কালবৈশাখীর জেরে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভবনা থাকায় শিবির আয়োজনে সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। তাই খোলা জায়গায় শিবির করা হচ্ছে না। মূলত স্কুল ভবন কিংবা স্থায়ী হলঘরে শিবির করা হবে।
গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলভবনে শিবিরের আয়োজনে কোনও বাধা থাকছে না। তবে কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় স্কুল বা হলঘরে শিবির করার দিনেই ওই পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের আবেদনপত্র তোলা ও জমা করার সুবিধার জন্য এবার ‘দুয়ারে সরকার’-এর ভ্রাম্যমাণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। গাড়িতে করে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে শিবিরের প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদনের ফর্ম তোলা ও জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা বাড়ির কাছেই ভ্রাম্যমাণ শিবির থেকে আবেদনপত্র তুলতে ও জমা দিতে পারবেন। এবার জেলায় মোট প্রায় ১৪০০টি ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হবে। এদিন চণ্ডীপুর ব্লকে বৃন্দাবনপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন একটি হলঘরে ও বৃন্দাবনপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে কাণ্ডপশরা হাইস্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হয়েছে। ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় ‘ভ্রাম্যমাণ শিবির’ও হয়েছে। চণ্ডীপুর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ মণ্ডল বলেন, ‘‘দুই পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার হয়েছে। তার সাথে ওই এলাকায় ‘ভ্রাম্যমাণ শিবির’-এর আয়োজন করে বাসিন্দাদের আবেদনপত্র দেওয়া ও জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রথম দিনে ভাল সাড়া মিলেছে।’’
তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাখর্দা ও ধলহরা পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘জেলায় এবার ১৪০০টি ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হবে। প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য এবার ‘ভ্রাম্যমাণ শিবির’ও করা হচ্ছে।’’