ছাত্রের প্রশ্নের মুখে বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী
আপনার বয়স কত? রাজনীতিতে কেন এলেন? রাজনীতিতে আসা কি আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত? আপনার রাজনীতিতে আসা কি আপনার পরিবার সমর্থন করেন?
শুক্রবার দুপুর একটা। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে জনসংযোগ করতে গড়বেতার লাপুড়িয়া গ্রামে গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সোনালি চক্রবর্তীর বাড়িতে সবে ঢুকেছেন তিনি। তখনই ছুটে এল একের পর এক প্রশ্নবান। জনসংযোগে গিয়ে অনুন্নয়ন ও গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে অভিযোগ আসা নতুন নয়। কিন্তু একের পরে এক ব্যক্তিগত প্রশ্নের মুখোমুখি এর আগে হননি আশিস। তাই প্রশ্ন শুনে খানিক ঘাবড়েই যান তিনি। সম্বিত ফিরল প্রশ্নকর্তা রাজর্ষি পালের কথায়।
গড়বেতা হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্র বলে, ‘‘বাংলার প্রজেক্ট রিপোর্টে সমাজের একজন বিশিষ্ট ব্যাক্তির সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা বলা আছে। তাই আপনি পাড়ায় আসবেন শুনে প্রশ্ন তৈরি করে এসেছি।’’ একে একে রাজর্ষির ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দেন বিধায়ক। পরে তিনি বলেন, ‘‘এরকম প্রশ্নের মুখে এই প্রথম পড়লাম। জনসংযোগে এসে স্কুল ছাত্রকে রাজনীতি নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে হবে তা কল্পনাও করতে পারিনি।’’ এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বের পরে পড়ুয়ার খাতায় স্বাক্ষর করে তবেই নিস্তার পান বিধায়ক।
এ দিন লাপুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামের মাটির রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার দাবি জানান বিধায়কের কাছে। ক্যানসারে আক্রান্ত প্রবীণ সুনীল দে বিধায়কের কাছে চিকিৎসার আর্জি জানান। এ দিন বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন গড়বেতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বাজপেয়ী, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অসীম সিংহ, ফারুখ মহম্মদ, দলের ব্লক নেতা দুলাল ভট্টাচার্য প্রমুখ। এ দিন বিকেলে চড়কডাঙা গ্রামে গিয়েও জনসংযোগ সারেন বিধায়ক।