—প্রতীকী চিত্র।
সাইকেল শিখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল কিশোরী। পড়শির বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তার দেহ। সোমবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর-২ ব্লকের পপড়আড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াবেড়িয়ার নিবড়া গ্রামের ঘটনা। প্রতিবেশী পেশায় রাজমিস্ত্রি গৌতম সিংহের বাড়ি থেকে এ দিন সোমা নায়েকের (৯) দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় এখনও পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। গ্রামবাসীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গৌতমকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমার বাবা পুণ্য নায়েক দিনমজুর। বাড়িতে তিন মেয়ের মধ্যে বড় সোমা ঘোড়াবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ দিন দুপুরে বাড়ির সামনের রাস্তায় সাইকেল শিখছিল সোমা। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরে পরিজনেরা দেখেন সাইকেল পড়ে থাকলেও সোমা নেই। শুরু হয় খোঁজ। গ্রাম জুড়ে তল্লাশি চালানো হলেও সোমার সন্ধান মেলেনি। সকলে মিলে সোমার খোঁজ করলেও গৌতম তাতে সামিল না হওয়ায় সকলের সন্দেহ হয়। সন্দেহের জেরে গৌতমের বাড়িতেও তল্লাশি করেন এলাকার লোকেরা। এরপরেই তার বাড়ির খাটের তলা থেকে সোমার দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় সনাতন বেরা বলেন, “দুপুর থেকে সোমার খোঁজ না পেয়ে সন্ধান শুরু করি। সন্দেহ হওয়ায় গৌতমের বাড়িতে খোঁজ করতেই দেহ উদ্ধার হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে সোমাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু কারণ বুঝতে পারছি না।” স্ত্রী ও মেয়ে না থাকায় বাড়িতে একাই ছিল গৌতম। সোমার দেহ উদ্ধারের পরে তাকে পাকড়াও করে রাখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে আসে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক জেরায় গৌতমের কথায় নানা অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চলছে।