মেদিনীপুরের এক নিখোঁজ বৃদ্ধার খোঁজ মিলল মধ্যপ্রদেশে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে পরিবারের কাছে সুলেখা তুড়কালি নামে ওই বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ওই বৃদ্ধার পরিজনেদের দাবি, বৃদ্ধা মানসিক ভারসাম্যহীন।
বয়স বাষট্টির সুলেখাদেবীর বাড়ি মেদিনীপুর শহরের বটতলাচকের কাছে। প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ঘটনাটি ঠিক কী? পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৯ মে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিমতলাচকের দিকে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। বিকেলে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। বৃদ্ধা বাড়ি ফিরছেন না দেখে খোঁজ শুরু করে তাঁর পরিবারের লোকেরা। পরিচিতদের বাড়িতেও খোঁজখবর নেওয়া হয়। যদিও কোথাও তাঁর সন্ধান মেলেনি। গত ১ জুন মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় পরিজনেরা অভিযোগ দায়ের করেন। প্রায় এক মাস বৃদ্ধার খোঁজ মিলছিল না। পুলিশ সূত্রে খবর, পরে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানায়, সেখানে এক বৃদ্ধার খোঁজ মিলেছে। তাঁর বাড়ি মেদিনীপুরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে মধ্যপ্রদেশের অনুপপুরে সুলেখাদেবীর খোঁজ মেলে। স্থানীয় রেলস্টেশনের সামনের এক দোকানে খাবার চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় কয়েকজন তখন বুঝতে পারেন, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি ভিন্ রাজ্য থেকে এসেছেন। পরে মধ্যপ্রদেশের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে। তারাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের একাংশের অনুমান, ওই বৃদ্ধা মেদিনীপুর স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন। ট্রেনে করেই তিনি মধ্যপ্রদেশের অনুপপুরে পৌঁছন।
সুলেখাদেবী জানান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তারা বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর বাড়ি মেদিনীপুরে। এরপরই মধ্যপ্রদেশ পুলিশ রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে মেদিনীপুরে পৌঁছন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্তারা। সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের পুলিশও ছিল। সুলেখাদেবীকে কোতয়ালি থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বৃদ্ধার মেয়ে রবা মুর্দিণ্ডা বলেন, “মা সুস্থ নন। মানসিক ভারসাম্যহীন। এক মাস ধরে অনেক জায়গায় খুঁজেছি। কোথাও খোঁজ মিলছিল না। মধ্যপ্রদেশে কী ভাবে চলে গিয়েছিল বুঝতেও পারছি না।”
সুলেখাদেবীর বৌমা খুকি তুড়কালি বলেন, “কোথাও খোঁজ মিলছে না দেখে পুলিশের কাছে নিখোঁজ অভিযোগ জানানো হয়েছিল। মা কী ভাষা জানেন, কী পরেছিলেন, গায়ের রং কেমন- সেই সব বিবরণও দেওয়া হয়েছিল। মা- কে ফিরে পেয়ে
ভালই লাগছে।”