গুলিচালনার ঘটনার পর চব্বিশ ঘণ্টা কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। খড়্গপুর শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বিকেলে গোলবাজারের মতো ব্যস্ত বাজারে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়ে পালাল। এতে শহরের বেহাল নিরাপত্তার চিত্রটা বেআব্রু হল।
মঙ্গলবার বিকেলে খড়্গপুরের গোলবাজারের দুর্গেশ্বর মন্দির সংলগ্ন ৩ নম্বর রেল কলোনি এলাকায় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ যুবক এন রাজেশ মেদিনীপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। এন রাজেশের অভিযোগ, বাজারে একটি দোকান কেনা নিয়ে বিবাদের জেরেই অর্জুন সোনকার ওরফে ভলু এই গুলি চালিয়েছে। ওই দিন রাতেই রাজেশের স্ত্রী অর্জুন সোনকার ও রবি সোনকারের নামে পুলিশে অভিযোগ করেছেন। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “একটা দোকান কেনা নিয়ে দু’পক্ষের গোলমালের জেরেই এই গুলি চলেছে। গুলিবিদ্ধ যুবক দু’জনের নাম জানিয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত করছি। অভিযুক্তরা পলাতক।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্জুনের বন্ধু এন রাজেশ। রাজেশ সোনা কেনাবেচা ও সুদের কারবার করেন। অর্জুনও সোনা কেনাবেচার কাজ করে। তাঁদের বন্ধু গোপীচাঁদ স্বর্ণকার গোলবাজারে একটি সোনা দোকান বিক্রি করতে চান। রাজেশ দোকানটি কিনতে চায়। দাম ঠিক হয় ১২ লক্ষ টাকা। ওই দোকান কিনতে উদ্যোগী হয় অর্জুনও। অভিযোগ, রাজেশ আগেই দাম বাবদ গোপীচাঁদকে তিন লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন। এটি জানাজানি হতেই রাজেশ ও অর্জুনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার একটি বিয়েবাড়িতে অর্জুনের সঙ্গে গোপীচাঁদের দেখা হয়। অভিযোগ, সেখানে গোপীচাঁদের কাছে রাজেশের নামে অর্জুন খারাপ কথা বলে। সেকথা রাজেশও জানতে পারে। কিছুক্ষণ পর অর্জুন ফোন করে রাজেশকে। বিকেলে তাঁকে গোলবাজারে এসে দেখা করার কথা বলে অর্জুন। কথা মতো বিকেলে গোপীচাঁদকে নিয়ে গোলবাজারে যান রাজেশ। কথার মাঝেই আচমকা রাজেশকে লক্ষ্য করে অর্জুন গুলি চালায় বলে অভিযোগ। রাজেশের বাঁ পায়ের হাঁটুর উপরে গুলি লাগে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গোপীচাঁদ স্বর্ণকারের অভিযোগ, “বিয়েবাড়ি থেকে ফিরে অর্জুন ফোনে রাজেশকে গোলবাজারে আসতে বলে। আমিও রাজেশের সঙ্গে যাই। অর্জুনের সঙ্গে রবি সোনকারও এসেছিল।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘বচসা চলাকালীন ছুটে গিয়ে পিস্তল নিয়ে এসে রাজেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দিল অর্জুন।”