—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অষ্টম দফায় দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হল শুক্রবার। এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৪২৫টি শিবির হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টি স্থায়ী এবং ৩২১ টি ভ্রাম্যমাণ শিবির ছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথম দিনেই শিবিরগুলিতে মোট ৩৮ হাজার ৬৬৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’র প্রকল্পে। এই প্রকল্পে এদিন জেলায় ৩১ হাজার ৭৪২টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়াও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ১৬৮৭টি, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ৯৫২টি, বয়স্ক ভাতার জন্য ৭৭৩টি, খাদ্যসাথী প্রকল্পে ৭৩০টি আবেদন জমা পড়েছে।
এদিন বিকেলে প্রশাসনিক অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক তনবীর আফজল বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার কর্মসূচির প্রথম দিনেই জেলায় মোট ৪২৫টি শিবির করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১০৪টি স্থায়ী ও ৩২১টি ভ্রাম্যমাণ শিবির। শিবিরগুলিতে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত জেলায় মোট প্রায় ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তবে সন্ধ্যে পর্যন্ত আবেদন জমার সংখ্যা আরও কিছু বাড়বে।’’ জেলাশাসক জানান, এবার শিবিরে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার পাশাপাশি, প্রতিটি ক্যাম্পে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করা হচ্ছে। এতে ব্লাড সুগার ও প্রেসার মাপা হচ্ছে। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই তাঁদের সুগার রয়েছে কি না, তা জানতে পারছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।
এদিন জেলাশাসক তমলুক ব্লকে বিষ্ণুবাড়-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষ্ণুবাড় হারাধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তমলুক ব্লকের পিপুলবেড়িয়া-১ পঞ্চায়েতের চাপবসান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হয়েছিল এদিন। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নিশিকান্ত মেট্যা বলেন, ‘‘শিবিরে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।’’ তমলুক পুরসভার মহেন্দ্র স্মৃতি সদনেও দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছিল। ওই শিবির পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘এ দিন চারটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য দুয়ারে সরকার শিবির হবে।’’