ফাইল চিত্র।
রেলশহরেও পুজোর কার্নিভ্যালের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা অনেক। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কার্নিভ্যালের আয়োজনে পুরসভার তৎপরতা এখন তুঙ্গে। আজ, সোমবার খড়্গপুরে শহরের বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছে পুরসভা।
এ বার খড়্গপুরে বিধায়ক ও পুরপ্রধানদের নিয়ে বৈঠকে পুজো কার্নিভ্যাল নিয়ে মেদিনীপুরের পুরপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। খড়্গপুরের পুরপ্রধানকেও কার্নিভ্যালের আয়োজনের নির্দেশ দেন তিনি। তার পর থেকেই শহরে এই পুজো কার্নিভ্যাল নিয়ে নানা পরিকল্পনা শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয় শহরের প্রবেশদ্বারে শিল্পতালুকের বিশ্ববাংলা গেটের সামনে হবে কার্নিভ্যালের আয়োজন। কয়েকটি পুজো কমিটির সঙ্গে এক দফা আলোচনাও করে পুরসভা। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এত দূরে শহরের উপকণ্ঠে বিশ্ববাংলা গেটের সামনে ট্যাবলো এবং মূর্তি নিয়ে কীভাবে পৌঁছনো যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কয়েকটি কমিটি। শহরের কোথায় কার্নিভ্যালের আয়োজন করলে সকলের পক্ষে যোগদান সুবিধা হবে তার খোঁজ করছে পুরসভা। সেই বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা করতে ১০টি বিগ বাজেটের পুজো কমিটিকে ডাকা হয়েছে। পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘শিল্পতালুকের বাইরে বিশ্ববাংলা গেটে ওই আয়োজনের জন্য আলোচনা করেছিলাম। অনেকেই অসুবিধার কথা জানিয়েছে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতেই বৈঠক ডেকেছি।”
পুরসভা সূত্রে খবর, আপাতত ঠিক হয়েছে পুরসভার সামনে ঝাপেটাপুরের মাঠে হবে ওই কার্নিভ্যালের আয়োজন। তবে সেখানেও সমস্যায় পড়তে হবে কয়েকটি পুজো কমিটিকে। দূর থেকে ট্যাবলো সাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার খরচ বাড়বে। একই সঙ্গে রেলের এলাকায় ভারী যান নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি এলাকায় বসানো হয়েছে লোহার বার। এর জেরে ট্যাবলোর উপরে মূর্তি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার মুথে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছে কমিটিগুলি। সেক্ষেত্রে কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। সব ঠিক থাকলে ৭ অক্টোবর পুজো কার্নিভ্যাল হবে খড়্গপুর শহরে।
হঠাৎ করে এমন প্রস্তুতিতে বাজেট নিয়েও ভাবনা বাড়ছে। খড়্গপুরের তালবাগিচা সবুজ সঙ্ঘের সম্পাদক মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, “একটা আলাদা অভিজ্ঞতা হবে কার্নিভ্যাল হলে। তবে এতটা পথ মূর্তি ট্যাবলো সাজিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা তো বাড়তি খরচ। সেটাও ভাবতে হচ্ছে।” আবার মালঞ্চ আদি পুজো কমিটির কর্মকর্তা শান্তুনু মাইতি বলেন, “আমাদের শহরে বড়বাতিতে আগে এমনই আয়োজন হতো। তখন এই কার্নিভ্যাল নাম ছিল না। তবে শোভাযাত্রা করে কার্নিভ্যালে যাওয়ার মধ্যে নতুনত্ব থাকবে।” বিষয়টি নিয়ে পুরপ্রধান প্রদীপ বলেন, “রেলের এলাকায় যেভাবে বিভিন্ন অংশে লোহার বার লাগানো রয়েছে সেটা সত্যিই একটা সমস্যা হতে পারে। তবে সবকিছু মোকাবিলা করে আশা করছি ৭ অক্টোবর পুজো কার্নিভ্যালের আয়োজন করতে পারব।” শহরের উন্নয়নে বছরভর চর্চায় থাকে রেল বনাম পুরসভার দ্বন্দ্ব। এখন পুজোর কার্নিভ্যাল আয়োজনেও রেল-বারের বাধা টপকাতে পথ খুঁজতে হচ্ছে পুরসভাকে।