মলিন: অনাদরে পড়ে স্মারক। নিজস্ব চিত্র
কমিউনিস্ট তাত্ত্বিক নেতা মানবেন্দ্রনাথ (এম এন) রায়ের স্মৃতি ও তাঁর কর্মকাণ্ড সংরক্ষণ করবে দাসপুর-২পঞ্চায়েত সমিতি। শুক্রবার আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের দিনে পঞ্চায়েত সমিতির এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল পরিচালিত। খেপুত এম. এন রায়ের পূর্বপুরুষদের ভিটে। তাই যে মাটির সঙ্গে কমিউনিস্ট নেতার নাড়ির টান সেখানে তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করতেই উদ্যোগী হচ্ছে পঞ্চায়েত। এমন উদ্যোগের কথা জানা ছিল না জেলা সিপিএম নেতৃত্বের। সিদ্ধান্ত শোনার পর সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলেন, “কেউ ওঁকে (এম এন রায়) স্মরণ করলে সেটা তো ভালই।” রাজনীতি দেখছে না তৃণমূলও। তবু সিপিএমকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তারা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “এম এন রায় সততা এবং চিন্তাধারা নিয়ে কোনও কথা হবে না। কিন্তু এখানকার সিপিএম তো গত ৩৪ বছরে লুটেপুটে খেয়েছে।”
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, খেপুত গ্রামে তৈরি করা হবে এম এন রায়ের আবক্ষ মূর্তি। তাঁর সারাজীবনের কর্মকাণ্ডের ছবি-সহ নানা কোলাজ সংরক্ষিত হবে পঞ্চায়েত সমিতির সংগ্রহশালাতেই। খেপুত গ্রামে এখনও এম এন রায়ের উত্তরপুরুষেরা থাকেন। গ্রামের মোড়ে এম এন রায়ের একটি স্মৃতি ফলক রয়েছে। সেখানেই তৈরি হবে ওই আবক্ষ মূর্তি। এম এন রায় স্মৃতি রক্ষা কমিটি পুরো বিষয়টি তদারকি করবে। দ্রুতই ওই কমিটি গড়া হবে।
এম এন রায়ের আসল নাম নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। জন্ম ১৮৮৭ সালে মার্চ মাসে। উত্তরবাড় খেপুত গ্রামে তাঁর বাবা দীনবন্ধু ভট্টাচার্য জন্মেছিলেন। তবে কর্মসূত্রে তিনি উত্তর ২৪ পরগনার আড়বেলিয়া চলে যান। সেখানে পড়াশোনা এই বিপ্লবীর। পড়াশোনা শেষ করে তিনি গুপ্তবিপ্লবী দলে যোগ দেন। তবে এম এন রায় নামে তিনি বিখ্যাত হন। দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা ব্লক সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, “সকলের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থের থেকে এলাকার আবেগই বড়।” এমন উদ্যোগ প্রসঙ্গে বর্তমান বংশধর অরুণ ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “হলে ভাল তো।’’