আলোচনায় তরুণ-বিকাশ

যৌথ প্রচারের কৌশল নিয়ে বৈঠক

যৌথ প্রচারে রাজ্যস্তরের কোনও নেতা থাকবেন না, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিনই এই কথা জানিয়েছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। যদিও সোমবার নারায়ণগড়ে বাম-কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে দেখা যায় উল্টো ছবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৬ ০১:৪১
Share:

যৌথ প্রচারে রাজ্যস্তরের কোনও নেতা থাকবেন না, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিনই এই কথা জানিয়েছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। যদিও সোমবার নারায়ণগড়ে বাম-কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে দেখা যায় উল্টো ছবি। হাতে-হাত মিলিয়ে মিছিলে হাঁটেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া। যৌথ প্রচারের রণকৌশল ছকে নিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরের মিরবাজারে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দু’দলের নেতৃত্ব।

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, জোট- বার্তা জোরদার করতে জেলায় যৌথ বৈঠকের ব্যাপারে আগেই সূর্যকান্তবাবুর সঙ্গে মানস ভুঁইয়ার কথা হয়। সেই মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে বৈঠকে বসেন সিপিএম- কংগ্রেস দু’দলের জেলা নেতারা। বৈঠকে নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে সিপিএমের তরফে ছিলেন জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, হরেকৃষ্ণ সামন্ত, বিজয় পালরা। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছিলেন বিকাশ ভুঁইয়া, শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়, অমল পণ্ডারা।

বৈঠক শেষে তরুণবাবু এবং কংবিকাশবাবু দু’জনেরই বক্তব্য, “মানুষ চেয়েছেন বলেই বোঝাপড়া হয়েছে। মানুষ আছেন বলেই আমরা নেতারা আছি। মানুষই সব চাইতে বড় কথা।” সোমবারই মানসবাবুর খাসতালুক সবংয়ে মিছিল করে জেলায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। মেদিনীপুরে এ দিনের বৈঠকেও যৌথ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, রবিবার সূর্যকান্তবাবুর সঙ্গে মানসবাবুর কথা হয়। এই দুই নেতার আলোচনার ভিত্তিতেই পরে তরুণবাবুর সঙ্গে কথা হয় বিকাশবাবুর। ঠিক হয়, মেদিনীপুরে দু’দল বৈঠকে বসবে। তরুণবাবু জানিয়ে দেন, বৈঠক যে কোনও জায়গায় হতে পারে। দলের জেলা কার্যালয়ে বৈঠক হলে আপত্তি আছে কি না বিকাশবাবুর কাছে জানতে চান সিপিএমের জেলা সম্পাদক। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অবশ্য জানিয়ে দেন, আপত্তির কি আছে। এরপরই ঠিক হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’দলের জেলা নেতারা মিরবাজারে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে বৈঠকে বসবেন। জেলায় বাম- কংগ্রেসের আসন রফা চূড়ান্ত হয়েছে। শুরুতে কিছু কাঁটা ছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে সেই কাঁটাগুলো সরিয়ে ফেলা গিয়েছে। ১৯টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। বাকি ৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। তবে সব বিধানসভা কেন্দ্রেই দু’দল যৌথ প্রচার চালাবে।

দু’দিনের প্রচার কর্মসূচি সেরে মঙ্গলবারই জেলা ছেড়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। দলীয় সূত্রে খবর, সূর্যবাবু জেলায় এসে তরুণবাবুদের জানিয়ে গিয়েছেন, গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি, যে যে ঝান্ডা নিয়েই লড়াই করুক না কেন, সেই লড়াইয়ে পাশে থাকতে হবে। ইতিমধ্যে অবশ্য সবং, খড়্গপুর সদরের মতো এলাকায় কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার শুরু করেছেন বাম কর্মী- সমর্থকেরা। এ দিন জেলাস্তরে দু’দলের যৌথ বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এরপর মহকুমাস্তরে এবং বিধানসভা কেন্দ্রস্তরে এ রকম যৌথ বৈঠক হবে। দু’দলের নেতারা নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈঠক শেষে দু’দলের দুই জেলা নেতার বক্তব্য, “বুথে বুথে মানুষের জোট তৈরি হচ্ছে। এ বার হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement