প্রতীকী ছবি।
দূরত্ব ঘোচাল বঙ্গধবনি। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের বাড়িতে গেলেন বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক। দু'জনের আলোচনায় উঠে এলো বঙ্গ রাজনীতির হরেক কথা।
গোয়ালতোড়ের পাথরপাড়া অঞ্চলের জঙ্গলে ঘেরা শালবনি গ্রামের মাটির বাড়িতে সপরিবারে থাকেন তৎকালীন গড়বেতা পশ্চিমের পাঁচবারের সিপিএম বিধায়ক কৃষ্ণপ্রসাদ দুলে। শনিবার বিকেলে ওই এলাকায় বঙ্গধবনি যাত্রায় গিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুঁ মারলেন শালবনির তৃণমূল বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। গড়বেতা পশ্চিম কেন্দ্রটিই পুনর্বিন্যাসের পরে শালবনি হয়েছে।
এ দিন কৃষ্ণপ্রসাদকে রাজ্য সরকারের ছাপানো রিপোর্ট কার্ড তুলে দেন। একের পর এক প্রকল্পের নাম বলতে থাকেন তৃণমূল বিধায়ক। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সবাইকে আনার কথা বললে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ‘‘আপনারা যতই এই প্রকল্প করুন, বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে অর্থবরাদ্দ না বাড়ালে আসল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।’’ দু’জনের মিনিট কুড়ির আলোচনায় উঠে আসে শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ, বিজেপির উত্থানের প্রসঙ্গও।
বর্তমান বিধায়ককে সামনে পেয়ে পড়শিরাও নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরেন। শ্রীকান্ত প্রাক্তন বিধায়কের ভাইঝি কলেজ ছাত্রী পিঙ্কি দুলেকে সবুজসাথীর সাইকেল বা কন্যাশ্রী পাচ্ছে কি না জিজ্ঞাসা করলে, সাইকেল পেলেও কন্যাশ্রী মেলেনি বলে জানান পিঙ্কি।
২০১১ সালে রাজ্যে সরকার বদলের পর দেড়বছর ঘরছাড়া ছিলেন কৃষ্ণপ্রসাদ। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্যই পাঁচবারের বিধায়ককে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল। এখন অবশ্য বাড়িতেই থাকেন তিনি। তবে শ্রীকান্ত অবশ্য এর আগে অবশ্য তাঁর বাড়িতে যাননি।
প্রাক্তন সিপিএম বিধায়র বলেন, ‘‘একসময়ে তৃণমূলের জন্য ঘর ছাড়তে হয়েছিল। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন অবশ্য ঘরেই থাকি। তৃণমূল বিধায়ক এসেছিলেন সরকারের সাফল্যের কথা জানাতে। প্রথমে অবাকই হয়েছিলাম। তাঁকে এলাকার সমস্যার কথা কিছু জানিয়েছি।’’
এই দু’জনের সাক্ষাতের কথা শুনে খোঁচা দিতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। এলাকার বিজেপি নেতা পশুপতি দেবসিংহের কটাক্ষ, ‘‘বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূল এখন সিপিএমকে ধোঁয়া দিচ্ছে। এটা তারই উদাহরণ।