আত্মঘাতী মেডিক্যাল ছাত্রী মিনি ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার হল ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ। মঙ্গলবার রাতে পিজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম মিনি ঘোষ (২৮)। অস্বাভাবিক এই মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির ঘোষবাটি গ্রামে। ডাক্তারির স্নাতকোত্তর কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন তিনি। থাকতেন হস্টেলেই।
বুধবার মিনির ময়নাতদন্ত করা হবে। আত্মহত্যার কারণ জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলেও মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা চলছে। মৃতের ঘর থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে আত্মহত্যার কারণ সংক্রান্ত কোনও কিছু লেখা রয়েছে কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে।
মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেছেন, ‘‘এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে হস্টেল থেকে। মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা চলছে।’’ জানা গিয়েছে, পেডিয়াট্রি নিয়ে পিজি কোর্স পড়াশুনা করছিল মিনি। রাজ্যস্তরের একটি সেমিনারের জন্য মিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন শিশু বিভাগের প্রধান চিকিৎসক তারাপদ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘‘মিনি খুব শান্ত মেজাজের ছিল। কোনও মানসিক চাপ থেকে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বাড়ির লোককে খবর দেওয়া হয়েছে।’’
মৃত্যুর খবর পেয়ে মিনির পরিবারের লোক রওনা দেন মেদিনীপুরের উদ্দেশে। বুধবার সকালে তাঁরা পৌঁছন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার পর কোতোয়ালি থানায় যান মৃতের বাবা বিনয় ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘‘ছোট থেকেই মিনি পড়াশুনায় খুব ভাল ছিল। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পেডিয়াট্রি বিভাগে পিজি কোর্স ভর্তি হয়।’’ এই ঘটনা কোনওমতেই মানতে পারছে না মিনির পরিবার। চাষের কাজ করেই মেয়ের পড়াশোনা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিনয়। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ মুর্শিদাবাদের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন পরিবারের লোকেরা।