—ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের জেলা কমিটির বৈঠক। অথচ সেখানে গরহাজির অর্ধেক সদস্যই। জঙ্গলমহলের প্রাণকেন্দ্র ঝাড়গ্রাম জেলার এই ছবিতে শাসকদলের অন্দরে শুরু হয়েছে প্রবল অস্বস্তি।
সদ্য প্রয়াত ডেপুটি বিধানসভার স্পিকার তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার স্মরণসভার সূচি স্থির করতেই মূলত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা কমিটির বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ঝাড়গ্রাম বনাঞ্চল সভাঘরে সেই বৈঠকে জেলা কমিটির ৯৮ জন সদস্যের মধ্যে হাজির ছিলেন ৪৯ জন। রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো, জেলার অন্যতম কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সত্যরঞ্জন বারিক, রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা, টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি আর্য ঘোষের মতো অনেকেই যাননি।
অনুপস্থিতি নিয়ে নানা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নেতারা। যেমন ছত্রধর বলছেন, ‘‘বাঁদনা পরব উপলক্ষে বাড়িতে প্রচুর অতিথি। তাই যেতে পারিনি।’’ তবে তৃণমূলের অন্দরের খবর, শুভেন্দুকে নিয়ে দলের একাংশ দ্বিধায় রয়েছেন। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমের খবরদারিতেও অসন্তুষ্ট একাংশ। অসন্তোষের আঁচ ছিল বৈঠকেও। একাধিক সদস্য প্রশ্ন তোলেন, ৯৮ জন সদস্যের জেলা কমিটিতে তাঁদের দায়িত্বটা কী সেটাই এখনও খোলসা করা হয়নি। বিজেপি-র জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর কটাক্ষ, ‘‘কে দলে থাকবেন, আর কে থাকবেন না সেটা ওরা ঠিক করতে পারছেন না। সম্ভবত সেই কারণেই ওদের সভায় লোকজন আসেননি।’’ বৈঠকে স্থির হয়েছে আগামী ২১ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে সুকুমার হাঁসদার স্মরণসভা হবে।