প্রতীকী ছবি।
মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের বিজেপি’তে যোগদানের ঘোষণায় জোর জল্পনা জেলা রাজনীতিতে। খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খানের সঙ্গে আজ, বুধবার মেচেদার সভায় বিজেপি’তে আর কোন তৃণমূল নেতা যোগ দিতে পারেন, সে নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা-সমালোচনা চলল তৃণমূলের অন্দরে।
বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় সঙ্গে সিরাজের একটি ছবি সামনে আসার পরে সোমবারই সিরাজ জানিয়েছেন যে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। মেচেদার সভাতেই তিনি বিজেপি’র পতাকা হাতে তুলে নেবেন। পেশায় ব্যবসায়ী সিরাজ ২০১৬ সালে নন্দকুমার বিধানসভা এলাকা থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে তৃণমূলের সুকুমার দে'র বিরুদ্ধে লড়ে হেরে যান। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল সিরাজকে পাঁশকুড়া পশ্চিম এলাকার ১২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট দেয়। জিতে তিনি জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হয়েছিলেন। তাঁর বিজেপি’তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুনে তাঁকে স্বার্থপর বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানা।
দীপ্তি বলেন, ‘‘সিরাজ খান বলছেন উনি জনগণের কাজ করতে এসেছেন। যে পাঁশকুড়া থেকে নির্বাচনে জিতে উনি জন প্রতিনিধি হয়েছেন, সেই এলাকার জনগণের জন্য উনি কী করেছেন? একদিনও পাঁশকুড়া এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে পর্যন্ত উনি আসেননি। শুধু নাটক করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন। উনি বিজেপিতে যাচ্ছেন নতুন কোনও স্বার্থ পূরণের লক্ষে।’’
জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, আজ মেচেদার সভায় তৃণমূলের ছোট-বড় অনেক নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে কারা যোগ দেবেন, সে বিষয়ে খলসা করেননি বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক দেবব্রত পট্টনায়েক বলেন, ‘‘শুধু তৃণমূল নয়, মেচেদার সভায় অন্য রাজনৈতিক দল থেকেও অনেক নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন।’’ কয়েক মাস ধরে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দলহীন জন সংযোগ ঘিরে তাঁর তৃণমূল ছাড়া নিয়ে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে গুঞ্জন, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ আরও অনেক তৃনমূল নেতা ও জন প্রতিনিধি বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। আপাতত মেচেদায় বিজেপির সভার দিকে তাকিয়ে সব মহল।