শিলদায় অসমাপ্ত বাড়িতে ফিরে এসেছেন মণিকাঞ্চন ও মিনতি দত্ত। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত প্রধানের আশ্বাসে সস্ত্রীক অসমাপ্ত বাড়িতে ফিরে গেলেন শিলদার মণিকাঞ্চন দত্ত। প্রধান আশ্বাস দিলেন, আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে বৈঠক ডেকে সমস্যা মেটাবেন।
মণিকাঞ্চনকে নিয়ে রীতিমত উদ্বেগে রয়েছেন তৃণমূলের ক্ষমতাসীন শিলদা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। বেলপাহাড়ি ব্লকের ওই পঞ্চায়েত কার্যালয়ে স্ত্রী মিনতিকে নিয়ে মঙ্গলবার বার বেলায় হাজির হন পেশায় মাছের ফেরিওয়ালা মণিকাঞ্চন। প্রধানকে জানিয়ে দেন, বাড়ির পুরো বরাদ্দ না পেলে পঞ্চায়েত কার্যালয়েই থাকবেন। সেই মত মঙ্গলবার বিছানা পেতে, গ্যাস জ্বালিয়ে বেঁধে বেড়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের একতলায় খাওয়া দাওয়া সারেন তাঁরা। ঘটনা হল, ২০১৭-’১৮ সালে আবাস যোজনায় মণিকাঞ্চনের নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়। কিন্তু টাকা ঢুকে যায় এলাকার তৃণমূল কর্মী পঞ্চানন দত্তের অ্যাকাউন্টে। পঞ্চানন বাড়িও বানিয়ে ফেলেন। মণিকাঞ্চন প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেন। সুরাহা না হওয়ায় লোক আদালতের দারস্থ হন। লোক আদালত প্রধান ও বিডিওকে সমস্যা মেটাতে বলে। প্রধানের হস্তক্ষেপে দু’দফায় মণিকাঞ্চনকে ৫৭ হাজার টাকা ফেরত দেন পঞ্চানন। বাকি ৯১ হাজার টাকা এখনও পঞ্চানন ফেরত দেননি। সেই টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে মঙ্গলবার রাতে মণিকাঞ্চনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
তৃণমূলের ক্ষমতাসীন শিলদা পঞ্চায়েতের প্রধান শিপ্রা বেজ বলেন, ‘‘মণিকাঞ্চনকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে বকেয়া টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে। যাঁদের আমলে গরমিল হয়েছিল, সেই বিগত বোর্ডের প্রধান ও উপপ্রধানকেও বৈঠকে ডেকেছি।’’ বুধবার নিজের অসমাপ্ত বাড়িতেই রান্না করেন মণিকাঞ্চনের স্ত্রী মিনতি। মণিকাঞ্চন-মিনতির বড় ছেলে বছর চব্বিশের প্রদীপ মৃৎশিল্পী। মেয়ে অর্পিতার বিয়ে হয়েছে বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়। মণিকাঞ্চন বলছেন, ‘‘পুরো টাকা ফেরত না পেলে এবার স্থায়ীভাবে পঞ্চায়েত অফিসে থাকব।’’