তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃদু ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী এবং নারায়ণগড়ের বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ। একুশের ভোটে জিততে হবে, মনে করিয়ে দিয়ে বিধায়কদের জনসংযোগ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী।
শুক্রবার দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠক করেছেন মমতা। সেখানে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। সেই বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রসঙ্গও মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে বলে দলের এক সূত্র জানাচ্ছে। শালবনিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন নয়। বিধায়ক শ্রীকান্তের সঙ্গে দলের ব্লক সভাপতি নেপাল সিংহের ‘বিরোধ’ রয়েছে বলে দলের অন্দরেই গুঞ্জন। ওই সূত্র জানাচ্ছে, এ দিন দলনেত্রী মতবিরোধ দূরে সরিয়ে রেখে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীকান্তকে মমতা বলেছেন, ‘‘তুই এখনও নেপালের সঙ্গে ঝগড়া করছিস? এক হয়ে কাজ কর।’’ শ্রীকান্ত না কি বলেছেন, ‘‘দিদি, আমাদের কোনও ঝগড়া নেই!’’ বিধায়ককে এলাকায় আরও সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। গড়বেতার বিধায়ক, নারায়ণগড়ের বিধায়ককেও একই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর আগে এই দুই বিধায়ককে নিজ নিজ বিধানসভা এলাকার ভোটার তালিকায় নাম তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। এ দিন প্রদ্যোৎকে দলনেত্রী বলেছেন, ‘‘এখনও কেন নারায়ণগড়ের ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়নি?’’ পরে প্রদ্যোৎ দলনেত্রীকে জানিয়েছেন যে তিনি নারায়ণগড়ের ভোটার তালিকায় নাম তুলে ফেলেছেন। আশিসকে মমতা বলেছেন, ‘‘কী সব শুনছি? এখনও গড়বেতার ভোটার তালিকায় নাম তুলিসনি কেন? ভোটে জিততে হবে তো?’’ আশিসও দলনেত্রীকে জানিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যে গড়বেতার ভোটার তালিকায় নাম তুলে ফেলেছেন। ‘‘ভোটে জেতার ইচ্ছে নেই না কি?’’ জেলার একাধিক বিধায়ককে এ ভাবেও ভর্ৎসনা করেছেন তৃণমূলনেত্রী বলে দলের এক সূত্রে খবর।
বৈঠক শেষে তৃণমূলের এক নেতা বলছিলেন, ‘‘তাঁর নজর যে সবদিকে রয়েছে, এ দিনের ভিডিয়ো বৈঠকে দিদি আরও একবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। কে কোথায় কী করছেন, সবই দিদি জানেন।’’