রবিবার দলের সভায় কাঁথিতে তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও নির্বেদ রায়।
দু’দিন আগে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তাঁর ‘গড়’ কাঁথিতে সভা করে রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল নেতা নির্বেদ রায় বুঝিয়ে দিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই হবে।
রবিবার বিকেলে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ধোবাবেড়িয়ায় ‘টিম দেশপ্রাণ’-এর ব্যানারে সভায় গোটা বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেন। সভায় ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আজকের সভা প্রমাণ করে পূর্ব মেদিনীপুরের লোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। আজকের সভা থেকেই স্পষ্ট, এখানকার মানুষের মূল আত্মা যদি কারও সঙ্গে থাকে, তিনিম মতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর কালীঘাটের বাড়িতে কয়েকজন শীর্ষ তৃণমূল নেতা মিটিং করেন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের রণকৌশল স্থির করে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মতো শুভেন্দুর এলাকাতেই গিয়ে ব্রাত্য বসুর বার্তা, ‘‘উনি শুধু আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন। দলের সর্বক্ষণের পর্যবেক্ষক।’’ শুভেন্দুর নাম না নিয়ে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, ‘‘আমরা একজনেরই অনুগামী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা একজনকে দেখে দল করি। তিনিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কোনও সাম্প্রদায়িক কিংবা নারী বিরোধী দল চাই না।’’ পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আজ হোক কাল এখানে এসে দিলীপ ঘোষকেও তৃণমূলের পতাকা ধরতে হবে।’’
তৃণমূল নেতা নির্বেদ রায় বলেন, ‘‘আগামী দিনে এখানকার মাটিকে আশ্রয় করে এগোতে হবে। এখান থেকেই লড়াই শুরু করতে হবে। অনেক কিছু বলার আছে। সময় এলে বলব।’’ তবে এদিনের সভা নিয়েও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সামনে চলে আসে। দেশপ্রাণ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম বারিকের অভিযোগ, ‘‘এদিন ‘টিম দেশপ্রাণ’-এর ব্যানারে সভা করা হয়েছে। দলীয় উদ্যোগে সভা হয়নি। এমনকী সাংগঠনিক কাউকে ডাকাও হয়নি।’’