শালবনিতে নব জোয়ারের প্রস্তুতি। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আজ, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার শালবনিতে তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচি রয়েছে। থাকছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় এই কর্মসূচিতেই শামিল হওয়ার কথা মমতার। শালবনি স্টেডিয়ামে দলের অধিবেশনে কী বার্তা দেবেন তিনি, তা নিয়ে জল্পনা নানা মহলে।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, জঙ্গলমহলের এই কর্মসূচি থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের ঘন্টা বাজিয়ে দিতে পারেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জঙ্গলমহলে কুড়মি-বিক্ষোভ অব্যাহত। এ নিয়েই বা কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী, নজর থাকছে সে দিকেও।
সব ঠিক থাকলে শনিবার দুপুরে কপ্টারে মেদিনীপুরে পৌঁছবেন মমতা। বিকেলে মেদিনীপুর থেকে কপ্টারে বা সড়কপথে যাবেন শালবনি। রাতে ফের সড়কপথেই মেদিনীপুরে ফিরবেন। তারপর রবিবার সকালে কপ্টারে কলকাতায় ফেরার কথা। যাতায়াতের রুট অবশ্য এ দিন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘শনিবার দলনেত্রী শালবনিতে আসছেন। দলের অধিবেশনে থাকবেন।’’ মন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো জুড়ছেন, ‘‘দিদি জঙ্গলমহলে বারবার এসেছেন। জঙ্গলমহলের উন্নয়নে অনেক কাজও করেছেন। এই এলাকার মানুষ দিদির পাশেই রয়েছেন।’’
শনিবার দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক রয়েছে। তবে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। বরং ব্যস্ত থাকছেন জেলা সফরে। কাল শুরুতে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি বিস্ফোরণস্থল যাওয়ার কথা তাঁর। সেখান থেকে আসার কথা মেদিনীপুরে। রবিবার নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কেন আমন্ত্রিত নয়, এই প্রশ্নে সরব তৃণমূল-সহ গুচ্ছ বিরোধী দল। তারা এই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্তও নিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই আবহে শালবনি থেকে আদিবাসী প্রসঙ্গে কেন্দ্রের প্রতি আক্রমণ শানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘‘এমনিতেই মেদিনীপুর জেলায় আমি একটু বেশি টাইম দিই’’- মাস তিনেক আগে মেদিনীপুরে এসে শুনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছিলেন মমতা। ওই মাসে জেলায় এসেছিলেন অভিষেকও। এ বার তাঁরা থাকছেন এক মঞ্চে। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি শমিত দাশের কটাক্ষ, ‘‘কেন্দ্র সাধারণ মানুষের উন্নতির জন্য টাকা দেয়। দিদির ভাইপো, ভাইদের উন্নতির জন্য টাকা দেয় না। দিদির তো হিসেব দেওয়ার ক্ষমতা নেই!’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি পাল্টা বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়েছে আমাদের তৃণমূল সরকার। দিদি জঙ্গলমহলকে ঢেলে সাজিয়েছেন। মানুষ কি সব ভুলে যাবেন!’’