ঝাড়গ্রামে দেবলীনা হেমব্রমের জন্য প্রচারে সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজস্ব চিত্র
সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের চুক্তিভিত্তিক ও ঠিকা কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক সাম্মানিক ১৮ হাজার টাকা করার দাবি জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বুধবার ঝাড়গ্রামে দলীয় প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমকে নিয়ে রোড শো করেন সূর্যকান্ত। পরে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে এক সভায় তিনি ওই দাবি করেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করে সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘দুই সরকারই মানুষের কাজ কেড়ে নিয়েছে।’’ সূর্যের অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা বন্ধ। স্কুলে শিক্ষক নেই, কলেজে অধ্যাপক নেই। কাজের ক্ষেত্র বন্ধ করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ চালু করেছেন বলে কটাক্ষ করেন সূর্যকান্ত। এ পরেই তিনি সিভিক, শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী, সহায়িকা, মিড ডে মিলের রাধুনিদের মাসিক সাম্মানিক কম করে ১৮ হাজার টাকা করার দাবি জানান।
মুখ্যমন্ত্রীকে এ দিন ‘শিল্পতাড়ুয়া’ বলে কটাক্ষ করে সূর্য বলেন, ‘‘এই মুখ্যমন্ত্রীকে না সরানো হলে বেকারের সমস্যা মেটার আর রাজ্যে শিল্প আসার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’ সেই সঙ্গে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে সূর্য বলেন, রেলে লক্ষ লক্ষ পদ খালি। নতুন নিয়োগ হচ্ছে না।’’
অন্য দিকে, এ দিন দুপুরেই নয়াগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী বিরবাহা সরেনের সমর্থনে জনসভা করার কথা ছিল তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে অভিষেক সভায় আসেননি। তার বদলে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জনভায় এসেছিলেন। সভায় পার্থ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহল সহ বাংলার জন্য যে উন্নয়ন করেছেন, তাতে এখানকার মানুষের কোনও ক্ষোভ নেই। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন।’’
শ্রমিক দিবসে রেলশহর খড়্গপুরে প্রচার চালিয়েছেন শাসক-বিরোধী প্রার্থীরা। তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া এর আগে তিন দিনে শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডে প্রচার চালিয়েছিলেন। এ দিন তিনি ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রচার শুরু করেন। পরে ২৭, ১২, ১৫, ১৮-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পায়ে হেঁটে প্রচার চালান মানস। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রচারে ঢাকও বাজনো হয়। মানসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ প্রতিদিনের মতো এ দিনও প্রাতঃভ্রমণে প্রচার সারেন। পরে দিলীপ শহরের ১৯ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পায়ে হেঁটে প্রচার চালান। বিভিন্ন এলাকায় দিলীপকে সংবর্ধনা দেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। সব মিলিয়ে শ্রমিক দিবসে অরণ্য এবং রেল শহরের প্রচার ছিল জমজমাট।