এক ব্যক্তিকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল এক ব্যবসায়ীর। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মহিষাদল থানার বাবুরহাট এলাকার এক ব্যবসায়ীকে এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ,পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার উত্তর লক্ষ্যা গ্রামের বাসিন্দা দুর্গাপদ খাটুয়া ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী মিলে হলদিয়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে চুরি করতেন। চুরি করা জিনিসপত্র নিয়ে এসে বিক্রি করতেন স্থানীয় বাবুরহাট এলাকার ব্যবসায়ী অলক দাস ওরফে বাবলু দাসকে । কিন্তু দুর্গাপদের সঙ্গে অলকের বিরোধের জেরে চুরি করা জিনিসপত্র অলকের কাছে বিক্রি না করে অন্য এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করতে থাকে। দুর্গাপদর উপর ক্ষিপ্ত হয় অলক।
১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর মহিষাদলের বাবুরহাট বাজারের কাছে বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় অলক দাস তাঁর পিছু ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুর্গাপদের শরীরে একাধিকবার কোপ মারে। ঘটনাস্থলেই দুর্গাপদের মৃত্যু হয়। ওই খুনের ঘটনার পরে অলক পালিয়ে গেলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একজন ওই ব্যবসায়ীকে চিনতে পারে। দুর্গাপদর ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অলক দাসের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে।
ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পরে পুলিশ ব্যবসায়ী অলক দাসকে গ্রেফতার করে। প্রায় তিন মাস জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনে ছাড়া পেলেও খুনের অভিযোগে অলকের বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকে। জেলা আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী সৌমেন দত্ত জানান, দুর্গাপদকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত অলকের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাশে মামলার শুনানির পর বিচারক বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অখিলেশ কুমার পান্ডে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের দায়ে অলক দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন । জরিমানার টাকা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।