—প্রতীকী চিত্র।
আনাজ-আলুর দাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর জেলা জুড়ে পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা শুরু হয়েছে। তাতে হয়েছে কাজও। আনাজের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু আলুর ক্ষেত্রে দরের রদবদল না হওয়ায় উঠছে নানা প্রশ্ন। অনেকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, আনাজ তো না হয় উৎপাদনের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে। কিন্তু আলুর ক্ষেত্রে তো সেই সমস্যা নেই। আলু তো হিমঘরে মজুত। তার পরেও আলুর দাম
চড়া কেন?
জেলা প্রশাসনের অবশ্য আশ্বাস, আলুর দামও কমেছে। দাম আরও কমবে। দু’দিন আগেই জেলা প্রশাসনের তরফে আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে হিমঘর মালিকরাও ছিলেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। তা ছাড়াও কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিকেরাও
উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আলুর মজুত-সহ ভিন্ রাজ্যের আলু আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়। পাইকারি দরের সঙ্গে খুচরো আলুর ফারাকের পরিমাণ চড়া কেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বলেন, ‘‘জেলায় পর্যাপ্ত আলু রয়েছে। আলুর দামও কমতে শুরু করেছে। জেলা জুড়ে বাজারগুলিতে নজরদারি চলছে। দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।’’ জেলাশাসক আরও জুড়ছেন, ‘‘সুফল বাংলার স্টলেও আলু বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘আলু নিয়ে কড়া নজরদারি
শুরু হয়েছে।’’
এ বার আলুর উৎপাদন কম-বেশি স্বাভাবিকই হয়েছিল। এ বার আলু হিমঘরে মজুত ছিল দু’কোটি ৯০ লক্ষ প্যাকেট। তার মধ্যে গত কয়েক মাসে প্রায় ৭০ লক্ষ প্যাকেট আলু হিমঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এখনও হিমঘরে দু’কোটি ১০ লক্ষ আলু মজুত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলুর দাম শুনে কার্যত আঁতকে উঠছেন আমজনতা। এই মুহূর্তে বাজারে খুচরো আলু কম-বেশি প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকায় বিকোচ্ছে। চন্দ্রমুখী আলুর দর আবার ৩৫ টাকারও উপরে।
এমনিতেই চলতি মরসুমে সারা বছরই আলুর দাম বেশি ছিল। মরসুমের গোড়া থেকেই প্রতি কুইন্টাল (কাঁচা আলু) প্রথমে ১০০০-১২০০ টাকা পরে সেটা দু’হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তারপর থেকে কম-বেশি দাম ওঠা-নামা করলেও দর
নিম্নমুখী হয়নি।
আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বরুণ পণ্ডিত বলেন, ‘‘আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করব। এখন পাইকারি আলুর দাম প্রতি কুইন্টাল ২৩০০ টাকারও উপরে। আলু পর্যাপ্ত রয়েছে। ভিন্ রাজ্যেও আলুর চাহিদা রয়েছে।’’