প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ও ব্লক কমিটির নতুন তালিকায় কোনও পদেই নেই নিহত তৃণমূল নেতা কুরবান শা’র কোনও অনুগামী।পদ বিন্যাসে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে মাইশোরায় গা ছাড়া ভাব তৃণমূলের। ক্ষোভে পিকের প্রচারে গরহাজির এলাকার সক্রিয় নেতা-কর্মীরা।
গত বছর অক্টোবরের ৭ তারিখ দুর্গাপুজোর নবমীর রাতে মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা পাঁশকুড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কুরবান শা। এক পর দাদা আফজল শা’কে মাইশোরা অঞ্চল তৃণমূলের কোর কমিটির প্রধান করে দল। এক বছর পেরিয়ে গেলেও পাঁশকুড়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির পদটি এখনও ফাঁকা। তৃণমূলের নতুন জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন হওয়ার আগে আফজলকে দলের কোনও একটি পদে বসানো নিয়ে শুরু হয় চর্চা। এমনকী কুরবান ঘনিষ্ঠ এক নেতাকে যুব তৃণমূলের পদেও বসানো হতে পারে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়।
কিন্তু তৃণমূলের নতুন কমিটিতে কোথাও কুরবানের দাদা বা কুরবান অনুগামী কাউকেই স্থান দেওয়া হয়নি। বরং নিহত কুরবানের বিপরীত মেরুর নেতা হিসেবে পরিচিত মাইশোরার বাসিন্দা সুজিত রায়কে ফের পাঁশকুড়ায় যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে বসিয়েছে দল। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ কুরবান অনুগামীরা। মাইশোরা অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি দীপঙ্কর বেরা বলেন, ‘‘কুরবান পাঁশকুড়ার বুকে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিলেন। দল করতে গিয়েই তাঁকে খুন হতে হয়। অথচ দলের নতুন কমিটিতে তাঁর দাদা বা কোনও অনুগামীকে রাখা হয়নি। এতে এলাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খেয়েছে।’’
এদিন মাইশোরার বলরামপুর এলাকায় পিকের টিমের লোকজন এলাকায় দলের প্রচার কর্মসূচি চালায়। যদিও সেই কর্মসূচিতে মাইশোরার সক্রিয় তৃনমূল নেতা-কর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে আফজল বলেন, ‘‘আমি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রয়েছি। কর্মসূচিতে কেন কেউ যায়নি বলতে পারব না।’’