Kolaghat Thermal Power Station

দ্বিতীয় শো-কজ় চিঠি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে

পূর্ব মেদিনীপুরে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ সংস্থার আবাসন সংলগ্ন এলাকায় ২৬টি অর্জুন গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৩
Share:

দ্বিতীয় শো-কজ কোলাঘাটকে। — ফাইল চিত্র।

অনুমতি ছাড়া কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ সংস্থার আবাসন সংলগ্ন এলাকায় নির্বিচারে গাছ কাটার ঘটনায় কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ সংস্থাকে শো-কজ় করেছিল বন দফতর। বন দফতরের পাঁশকুড়া রেঞ্জ সূত্রের খবর, সেই শো-কজ়ের চিঠির জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে শনিবার দ্বিতীয় একটি শো-কজ়ের চিঠি দেওয়া হয়েছে সংস্থাকে।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ সংস্থার আবাসন সংলগ্ন এলাকায় ২৬টি অর্জুন গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ওই সব গাছে কয়েক হাজার পাখির বাসা ছিল। এভাবে গাছ কাটায় প্রশ্ন তুলেছিলেন পরিবেশ কর্মীরা। এর পরেই শো-ক‌জ় করা হয়েছিল তাপ বিদ্যুৎ সংস্থাকে। তাতে সংস্থাকে তিনদিন সময় দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, কারা গাছ কেটেছে, এই কাজে কোথায় অনুমতি নেওয়া হয়েছিল ইত্যাদি।বন দফতর সূত্রের খবর, কার্যত গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে স্বীকার করেছে তাপবিদ্যুৎ সংস্থা। যদিও ওই কাজের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবিকরেছে তারা।

বন দফতর ওই শো-কজ়ের জবাবে সন্তুষ্ট নয়। পূর্ব মেদিনীপুর বন আধিকারিক অনুপম খান বলেন, ‘‘তাপ বিদ্যুৎ সংস্থার উত্তরে আমরা সন্তুষ্ট নই। সংস্থার আবাসনের কাছেই একটি পুকুরের পাড়েই ওই গাছগুলি ছিল। এই পুকুরের কাজ হয়েছে, তা স্পষ্ট দেখা গেছে। কোন ঠিকাদার ওই কাজ করেছে, কে সুপারভাইজার ছিলেন, তা আমাদের জানাতে হবে। সংস্থার নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী ও সিসি ফুটেজ ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে গাছ কাটা হল, তার কিছুই সংস্থা জানে না, এটা হতে পারে না।’’ এর পরেই দ্বিতীয়বার শো-কজ়ের চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তাপ বিদ্যুৎ সংস্থার এক আধিকারিক জ্যোতি আর্য বলেন, ‘‘গাছগুলি অতি সম্প্রতি আদৌ কাটা হয়েছে কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষ। আমরা নিজেরা তদন্ত করে দেখছি কী হয়েছে।’’ এদিকে, ওই ঘটনায় কোলাঘাট বিডিও অফিসের তরফেও তদন্ত করা হচ্ছে। বিডিও অর্ঘ্য ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসনিক ভাবে তদন্ত করা হয়েছে। আমি নিজে একাধিকবার গিয়েছি ঘটনা স্থলে। তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

অন্য একটি ঘটনায় চণ্ডীপুরের কাণ্ডপসরার কাছে লবণ সত্যাগ্রহ রেল স্টেশনের কাছে জলাভূমিতে জাল পেতে পাখি ধরার অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগ পেয়ে শনিবার বন দফতরের উদ্যোগে সচেতনা শিবির হয়েছে ওই এলাকায়। সেখানে বাজকুলের রেঞ্জার শমীক জানান। এদিন জালে জড়িয়ে থাকা মরা পাখিও উদ্ধার করা হয়েছে বন দফতরের তরফে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement