Medinipur

মহকুমা শাসকের জায়গায় মেদিনীপুরের পুরপ্রশাসক হচ্ছেন খড়গপুর গ্রামীণের বিধায়ক

বিধায়ক দীনেন রায়কে পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়ার সরকারি নির্দেশ আসে রাজ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে। নতুন বোর্ড থেকে বাদ গিয়েছেন বাদ গিয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারণ্যান প্রণব বসু। যিনি আবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ২০:১৪
Share:

প্রণব বসু এবং দীনেন রায়। নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুরের পুরপ্রশাসক হচ্ছেন খড়গপুর গ্রামীণের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান দীনেন রায়। এই দায়িত্বে ছিলেন মেদিনীপুর সদরের মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষ। তিনি ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা শাসকের দায়িত্বে যাচ্ছেন। বুধবার বিকেলে তিনি নতুন মহকুমা শাসক নীলঞ্জন ভট্টাচার্যকে মেদিনীপুর পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। কিন্তু তার পরই বিধায়ক দীনেন রায়কে পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়ার সরকারি নির্দেশ আসে রাজ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে। নতুন বোর্ড থেকে বাদ গিয়েছেন বাদ গিয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারণ্যান প্রণব বসু। যিনি আবার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

Advertisement

মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন মহকুমা শাসক দীননারায়ণ। এবার তাঁর জায়গায় আসছেন দীনেন রায়। আগের কমিটির সদস্য মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী নতুন কমিটিতেও রয়েছেন।

এই প্রশাসক বদলের পিছনে আবার অনেকে রাজনীতি দেখছেন। কমিটি থেকে প্রণবকে সরানোর পিছনে দলের অন্দরের রাজনৈতিক সমিকরণের কথা বলছেন অনেকে। তাঁদের মতে প্রণব যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ তাই তাঁকে বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। মেদিনীপুর শহর ক্লাব সমন্বয় কমিটির ব্যানারে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন প্রণব।

Advertisement

প্রণব ১০ বছর মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসাবে কাজ করছিলন। নতুন এই বদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাকে এখন আর পছন্দ হয়নি তাই রাখেনি। কেন বাদ দিল কারণটা ওঁরাই বলতে পারবেন। আমাকে কিছু জানানো বা জিজ্ঞাসা করা হয়নি।”

তবে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “এটা দলের সিদ্ধান্ত নয়, সরকারি সিদ্ধান্ত। আর সরকার যাঁকে পুরপ্রশাসকের দায়িত্বে বসিয়েছেন তিনি যথেষ্ট দক্ষ প্রশাসক। মানুষও তাঁকে চান।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement