জামদার জনসভায় হেমন্ত সোরেন। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককে পাখির চোখ করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে পারে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। এই জল্পনা উস্কে দিল বৃহস্পতিবার জেএমএম প্রধান তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ঝাড়গ্রাম সফর। এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জেএমএমের প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য-ও। এ দিন হেমন্তের ঝাড়গ্রাম সফর ঘিরে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবনে অবাঙালিদের সঙ্গে বৈঠকে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও টের পাওয়া গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের জামদা সাকার্স ময়দানে জনসভা করেন হেমন্ত। বুধবার ওই মাঠেই সভা করেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন বক্তৃতায়, আদিবাসীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হেমন্ত। তাঁর অভিযোগ ‘‘'আদিবাসীদর চাক্কিতে পেষাই করা হচ্ছে এবং তাতে তাাঁরা সব দিক থেকেই বঞ্চিত হয়ে পড়ছেন। ঝাড়খণ্ড রাজ্যে আদিবাসী সমাজের মানুষের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হলেও, গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ রাজ্যের আদিবাসীদের কোনও উন্নয়ন হয়নি।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে সুপ্রিয়র গলাতেও। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জেএমএমের। তবে আলোচনার মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
জাতীয় স্তরে ‘বন্ধু শক্তির’ এমন পদক্ষেপের চেষ্টায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার দেখে দুঃখ লাগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন এসে ঝাড়গ্রামে রাজনীতি করছেন। আর আমরা ওখানে গিয়ে কত সমর্থন করেছিলাম। তোমরা খেতে দেবে না, পরতে দেবে না, ৩৬৫ দিন কী হবে দেখবে না। আর ভোটের সময় ভোট দিন, ভোট দিন বলবে। তা হলে আমরা কোথায় যাব? হেমন্ত সোরেন বাংলায় ভোট চাইলে, ঝাড়খণ্ডে অনেক বাঙালি আছেন, আমরাও সেখানে গিয়ে তাঁদের ভোট চাইব। আমি কি রাজস্থানে ভোট চাইতে যাই?’’ সেই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘‘আপনারা যদি এ রকম করেন, আমরাও করব। আগে ঝাড়খণ্ড সামলান।’’