—নিজস্ব চিত্র।
ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির পর ফের কটালের মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বাঁধ মেরামতির রিপোর্ট নেন তিনি। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে ইয়াসের মতো বিপর্যয়ে সেচ দফতরের কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, জনপ্রতিনিধিদের তারও প্রস্তাব দিতে বলেছেন সৌমেন।
শুক্রবার দুপুুরে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে ওই বৈঠকে সৌমেন ছাড়া আরও ৫ জন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার বিধায়করাও ছিলেন। বৈঠকের পর সৌমেন বলেন, “ইয়াসে জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২৬ জুন ফের ভরা কটাল। তার আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সার্বিক পরিস্থিতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইয়াসের সময় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি কতটা মেরামতি হয়েছে, তার রিপোর্ট নিয়েছি। ভবিষ্যতে সেচ দফতরের কী কী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সে প্রস্তাবও চাওয়া হয়েছে। ব্যারেজগুলি থেকে জল ছাড়লে, কী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, তার রূপরেখা তৈরি করা হবে।”
সৌমেনের দাবি, ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের অবস্থা এখন ভাল। তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের পর দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বীরভূম, হুগলি এবং হাওড়ার সেতুগুলি সরানো হচ্ছে।” সম্প্রতি বৃষ্টিতে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের ৩৭০টি কাঠের সেতুকে পাকা করার জন্য উদ্যোগী নিয়েছেন।