River Erosion

নদীবাঁধে ফাটল-ভাঙন, পরিদর্শন

স্থানীয় সূত্রের খবর, সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি, গুয়াবেড়া অঞ্চলের এরিয়াখালি, রায়নগর ও বৈষ্ণবচক গ্রাম এলাকায় নদী বাঁধ এলাকায় বড়সড় ফাটল দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ০৮:২১
Share:

সুতাহাটায় নদী বাঁধের ভাঙন পরিদর্শন করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল গত কয়েক সপ্তাহে। দু’দিন আগেই জেলায় হয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টি। এর মধ্যেই সেই ঝড়-জল আর ভরা কোটালের জেরে বিপন্ন হল হুগলীর নদীবাঁধ। কোনও কোনও এলাকায় দেখা গেল বড়সড় ফাটল। আবার কোথাও ধসল বাঁধের মাটি। বর্ষার আগে বাঁধের এই অবস্থায় চিন্তা বেড়েছে এলাকাবাসীর। বুধবার সেই ভাঙন পরিদর্শন করেন সেচ দফতরের আধিকারিকেরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি, গুয়াবেড়া অঞ্চলের এরিয়াখালি, রায়নগর ও বৈষ্ণবচক গ্রাম এলাকায় নদী বাঁধ এলাকায় বড়সড় ফাটল দেখা গিয়েছে। ওই এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে হুগলি নদী। সুতাহাটা ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, বাঁধের প্রায় সাড়ে ৩০০ মিটারের বেশি জায়গা ভেঙে গিয়েছে জলের তোড়ে। ফলে আসন্ন বড় কোটালে আরও বেশি বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই এলাকায় একাধিক ইঁটভাটা রয়েছে। সেখানে মাটি কাটার জন্যই নদী বাঁধ বিপজ্জনকভাবে ভাঙছে।

ঘটনার খবর পাওয়ার পর এদিন এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক মিশ্র, জেলা পরিষদের সদস্য অভিষেক দাস এবং গুয়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সাবীরউদ্দিন। এদিন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা ইঁটভাটা অ্যাসোসিয়েশনকে অনুরোধ করেন, কটালের জল কমলে ভাঙা ইট ফেলে সাময়িক ব্যবস্থা নিতে। সুতাহাটা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পার্থ বটব্যাল বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পরেই পঞ্চায়েতের তরফ থেকে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ সেচ দফতরেও খবর দেওয়া হয়েছে। ওই দফতরের আধিকারিকেরা এসে যৌথভাবে সমীক্ষা করছেন। সুতাহাটার বিডিও দেবলীনা দাস বলেন, ‘‘বিপজ্জনক ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেচ দফতর।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement