সবংয়ের ছাত্র খুনের মামলা নিয়ে চলা পুলিশ এবং কংগ্রেসের চাপানউতোর অন্য মাত্রা পেল সোমবার। এ দিন সবং কলেজের এক শিক্ষক মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে লিখিত ভাবে জানান, তিনি নতুন করে গোপন জবানবন্দি দিতে চান। সুকুমার চন্দ নামে ওই শিক্ষক দিন কয়েক আগেই মেদিনীপুরের এসিজেএম আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।
কংগ্রেসের দাবি, একই ব্যক্তি কখনও দু’বার আদালতে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন না। সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুইয়াঁ বলেন, “ওই শিক্ষক আগেই একবার গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। নতুন করে আবার গোপন জবানবন্দি দিতে চাইছেন। এটা হয় না। পুলিশ নিজের মতো করে চিত্রনাট্য সাজানোর চেষ্টা করছে।” ওই শিক্ষকের আবেদন নিয়ে সোমবার মেদিনীপুরের সিজেএম মঞ্জুশ্রী মণ্ডলের এজলাসে শুনানি হয়। আবেদনের জোরালো বিরোধীতা করেন সবংয়ের ছাত্র খুনের মামলায় ধৃত ছাত্র পরিষদ কর্মী পল্টু ওঝার আইনজীবী শান্তি দত্ত। শান্তিবাবুর কথায়, “দু’বার কেউ গোপন জবানবন্দি দেবেন কেন? এটা হয় না কি?” সরকারপক্ষের আইনজীবী দীপক সাহা অবশ্য জানিয়ে দেন, “কিছু নতুন তথ্য উনি (শিক্ষক) দিতে চাইছেন। তাই এই আবেদন জানিয়েছেন। এখানে আপত্তির কিছু থাকতে পারে না।” দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে সিজেএম সবং কলেজের ওই শিক্ষকের আবেদন মঞ্জুর করে।
এদিকে, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তারা মেদিনীপুর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। আইনজীবী শান্তিবাবুর কথায়, “আমরা জেলা আদালতে পিটিশন করব। এই রায় মেনে নিতে পারছি না।” সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানসবাবু বলেন, “আমরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জেলা আদালতে যাব। আইনের উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে।” বস্তুত, সবংয়ের ছাত্র খুনের মামলায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। এরমধ্যে যেমন কলেজের শিক্ষাকর্মী রয়েছেন, তেমন ছাত্র- শিক্ষকও রয়েছেন। মানসবাবু বলেন, “পুলিশ কখনওই মুখ্যমন্ত্রীর কথার উল্টোদিকে গিয়ে তদন্ত করবে না। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই চলতে হচ্ছে।’’