প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুতের খুঁটিতে ‘নিখোঁজ প্রধান’-এর পোস্টার! অফিসের মধ্যেই সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ করছেন প্রধানের। যাকে ঘিরে ফের নন্দীগ্রামে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান বেশ কয়েকদিন ধরে অফিসে আসছিলেন না। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে প্রধানকে না পেয়ে অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মঙ্গলবার বেশ কিছু জায়গায় ‘নিখোঁজ প্রধান’ বলে পোস্টার দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মানুষ অসহায়। বন্ধের মুখে আমদাবাদ-২ নম্বর অঞ্চল’। পোস্টারের নীচে লেখা ‘নাগরিকবৃন্দ’।
পাল্টা অভিযোগ নিয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশের দ্বারস্থ আমদাবাদ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সবিতা বারিক। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে এবং বাইরে কুড়ি পঁচিশ জন দুষ্কৃতী সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দখল করে রাখে। সাধারণ মানুষ ও পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করে। শুধু তাই নয়, তাদের কথামত না চললে খুন করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ এই অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করেন নন্দীগ্রাম থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
যদিও বাসিন্দাদের একাংশের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা। প্রধানের বিপরীত গোষ্ঠীর লোকজনই এই কাণ্ড করে বেড়াচ্ছে। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। তৃণমূলের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘কিছু দুষ্কৃতী এই ধরনের কার্যকলাপ করছে। এলাকার উন্নয়ন কিছু লোক সহ্য করতে পারছে না। পুলিশ প্রশাসনকে লিখিতভাবে সব জানানো হয়েছে।’’
ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘আসলে কাটমানি নিয়ে ভাগাভাগিতে সমস্যার জন্য এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। প্রধান একাই সব কাটমানি খেয়ে ফেলবে এটা তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠী সহ্য করতে পারছে না। সে জন্য তারাও মাঠে নেমে পড়েছে।’’
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বার বার মুখে দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বললেও দলের নীচের তলায় যে সেই বার্তা পৌঁছচ্ছে না এটা তারই প্রমাণ। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গোষ্ঠীকোন্দল কী ভাবে তৃণমূল নেতৃত্ব সামাল দেয় সেটাই দেখার।