রাঙামাটিতে সেই জমিতে আইএনটিটিইউসি-র পতাকা। নিজস্ব চিত্র
জলপ্রকল্পের কাজ হবে। জমি মাপজোক করতে গিয়েছিল পুরসভার দল। এলাকায় গিয়ে দলটি অবাক! যে সরকারি জমিতে কাজ হওয়ার কথা সেটি জবরদখল হয়ে গিয়েছে! জমিটি কেউ বা কারা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছে ঝান্ডা। তেরঙা ওই ঝান্ডায় লেখা আইএনটিটিইউসি। ঘটনা মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি এলাকার।
তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি তথা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনায় দল যুক্ত নয়। তৃণমূলের নাম করে কেউ বা কারা এই ধরনের অবৈধ কাজ করতে পারে। প্রশাসনকে বলব কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিও বলেন, ‘‘দল কোনও অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। দেবেও না। জমি দখলমুক্ত করতে প্রশাসন পদক্ষেপ করুক।’’ মেদিনীপুরে দ্বিতীয় জলপ্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পেরই কাজ হওয়ার কথা রাঙামাটির ওই এলাকায়।
সূত্রের খবর, যে জমিতে প্রকল্প হওয়ার কথা সেটি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের। প্রকল্পের জন্য জমিটি ওই দফতরের কাছ থেকে চেয়েছে পুরসভা। বৃহস্পতিবার জমির মাপজোক করতে এলাকায় গিয়েছিল পুরসভার এক দল। গিয়ে দলটি দেখে, ওই জমিটি এ ভাবে জবরদখল করা হয়েছে।
মেদিনীপুরের পুর- প্রশাসক তথা মহকুমাশাসক (সদর) দীননারায়ণ ঘোষ মানছেন, ‘‘শহরের ওই এলাকায় জলপ্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা। পুরসভার একটি দল এলাকায় গিয়েছিল। দলটি গিয়ে দেখেছে, ওই জমি দখলের চেষ্টা হচ্ছে। রিপোর্ট চেয়েছি। দলটি রিপোর্ট দিচ্ছে। রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারী বলেন, ‘‘কোথাও কোনও খাস জায়গা দখল করা হলে কিংবা দখলের চেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এ ভাবে সরকারি জমি জবরদখল করায় তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের খোঁচা, ‘‘শাসক দলের লোকেরাই সরকারি জমি দখলের কারবারে যুক্ত। প্রশাসন সব দেখেও চুপ। কেমন প্রশাসন চলছে মানুষ সব দেখছেন।’’