Haldia

বন্দর এলাকায় উচ্ছেদের নোটিস, হলদিয়ায় বিক্ষোভ তৃণমূলের

বন্দরের অধিগৃহীত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ‘জবরদখল’ করে বাস করছে শতাধিক পরিবার। সম্প্রতি এদেরই উচ্ছেদের জন্য নোটিস জারি করেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ১৫:২১
Share:

তৃণমূলের নেতৃত্বে চলছে বিক্ষোভ।

উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদে উত্তাল হল হলদিয়া। বন্দরের অধিগৃহীত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ‘জবরদখল’ করে বাস করছে শতাধিক পরিবার। সম্প্রতি এদেরই উচ্ছেদের জন্য নোটিস জারি করেছে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার হলদিয়ার উদ্বাস্তু, ক্ষতিগ্রস্ত, বস্তিবাসী উন্নয়ন কমিটির সমর্থনে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন জওহর টাওয়ারে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।

বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস ও হলদিয়া শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতারা। ছিলেন হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, হলদিয়া শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অর্ণব দেবনাথ-সহ অনেকে।

Advertisement

অর্ণব দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘‘হলদিয়ার টাউনশিপ লাগোয়া বিষ্টুরামচক, সাউদার্নচক এলাকাগুলিতে বেশ কয়েকশো পরিবার দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছে। দিন সাতেক আগে বন্দরের তরফে হঠাৎই এই পরিবারগুলিকে দ্রুত জায়গা খালি করার নোটিস দেওয়া হয়েছে। এর জেরে চুড়ান্ত সঙ্কটে পড়েছেন এলাকাবাসীরা। তাঁদের কোনও রকম পুনর্বাসন ছাড়াই উচ্ছেদের নোটিস দেওয়ায় আজ হলদিয়া উদ্বাস্তু, ক্ষতিগ্রস্ত, বস্তিবাসী উন্নয়ন কমিটির ব্যানারে তৃণমূলের উদ্যোগে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে। উদ্বাস্তুদের জন্য বন্দরকে উদ্যোগ নিতে হবে, না হলে প্রতিবাদ আন্দোলন চলবে।’’

দেবপ্রসাদ মণ্ডলের দাবী, ‘‘বন্দর এলাকা থেকে উচ্ছেদ হওয়া বহু পরিবার এখনও পুনর্বাসন পাননি। তাঁরা কেউ বস্তিতে, আবার কেউ গ্রামের মধ্যে ঘর বানিয়ে রয়েছেন। এখন আচমকা তাঁদের উচ্ছেদের জন্য নোটিস জারি করা হয়েছে। এতগুলো পরিবার কোথায় যাবে তা বন্দরকেই দেখতে হবে।’’

তাঁর দাবী, ‘‘১৯৬৭ সালে জমি হারানো বহু পরিবারকে প্লট দেওয়া হয়নি। এমন পরিবারগুলোকে অন্যত্র কমপক্ষে দুই ডেসিম্যাল করে জায়গা দিতে হবে। জায়গা দেওয়ার পর ধীরে ধীরে উদ্বাস্তু পরিবারগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। অন্যথায় উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না।’’ তবে এই বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: পর পর ‘ইঙ্গিতবহ’ টুইট, এ বার কি শেষ পর্যন্ত সোমেন-পুত্রও মমতার তৃণমূলের পথে

Advertisement

আরও পড়ুন: বাংলায় আলকায়দার নিশানায় একাধিক রাজনীতিক, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement