মাংসে অরুচি, পোয়াবারো ইডলির

কাঁথি শহর এবং শহরতলি এলাকায় রয়েছে বিরিয়ানির দোকান। কিন্তু সম্প্রতি সেই সব দোকানে কমছে ভিড়।

Advertisement

কেশব মান্না

কাঁথি শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৮ ০১:৩০
Share:

দম ফেলার ফুরসত নেই ইডলি, ধোসার দোকানে। কাঁথিকে নিজস্ব চিত্র

ভোটের বাজারে কাঁথিতে ‘দল বদলে’র হিড়িক। তবে এই ‘দল বদল’ রাজনীতির ময়দানে নয়, রসনা তৃপ্তিতে। এক সময় যাঁরা বিরিয়ানির দোকানে ভিড় জমাতেন, তাঁদের অনেকেই এখন হাজির হচ্ছেন ইডলি-ধোসার দোকানে। সৌজন্য ভাগাড়-কাণ্ড।

Advertisement

কাঁথি শহর এবং শহরতলি এলাকায় রয়েছে বিরিয়ানির দোকান। কিন্তু সম্প্রতি সেই সব দোকানে কমছে ভিড়। উল্টে সন্ধ্যা নামলেই শহরের কলেজ মোড় চত্বরে ইডলি-ধোসা-দই বড়ার মতো নিরামিষ খাবারের দোকানে হাজির হচ্ছেন এলাকাবাসী। গত এক সপ্তাহে ‘সাউথ ইন্ডিয়ান’ পদগুলির চাহিদাও বেড়েছে কয়েক গুণে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক ধরে ৫০ টাকার চিকেন বিরিয়ানিতে ছেয়ে গিয়েছিল গোটা শহর। ফাস্ট ফুড খাবারের বাজারে ‘শাসক’ দাপিয়ছে চিকেন বা মটন বিরয়ানি। বর্তমানে ওই বিরিয়ানি ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, কলকাতায় ভাগাড় থেকে মাংস তুলে এনে রেস্তরাঁয় বিক্রির ঘটনা সামনে আসতেই ভাটা পড়েছে তাঁদের ব্যবসায়।

Advertisement

উল্টো ছবি ধোসার দোকানে। রঞ্জিত ওঝা নামে এক ধোসা বিক্রেতা বলেন, ‘‘আগে বাড়ির লোকেরা মিলেই ব্যবসা সামলাতাম। কিন্তু, এখন আর তা হচ্ছে না। গ্রাহক সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তিন জন নতুন কর্মচারী রাখতে হয়েছে।’’ দোকানের এক কর্মচারীর কথায়, ‘‘বিউলির ডাল, চাল দিয়ে তৈরি হয় ইডলি, ধোসা এবং দইবড়া। আমিষের কোনও অস্তিত্বই নেই। ফলে পচা খাবার খাওয়ার ভয় থাকছে না বাসিন্দাদের মধ্যে।’’ সুভাষ বসু রোডের এক হোটেল ব্যবসায়ী তপন মাইতি বললেন, ‘‘এ ধরনের খাবারের দামও খুব বেশি নয়। ফলে ভিড় ভাড়ছে।’’

একই কথা খাদ্য রসিকদের মুখেও। ইডলি খাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা শুভ্রান্ত মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘এতে বিপদ রয়েছে বলে কখনও শুনিনি। তাই খেতে আসি।’’ পাশের টেবিলে খেতে বসেছিলেন চার কলেজ পড়ুয়া। তাঁদের দাবি, ‘‘চোখের সামনে সব কিছু দেখতে পাচ্ছি। তাই বাসি খাবার কি না তা নিয়ে সংশয় থাকে না।’’

ভাগাড়-কাণ্ডের পরে মাংস নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কাঁথি পুরসভা। ইতিপূর্বে শহরের একাধিক জায়গায় মাংস এবং বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালিয়েছে পুর-প্রতিনিধি দল। কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বেশ কিছু দোকান থেকে মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে দেখা হচ্ছে। যদিও, এখনও পচা মাংস বিক্রির প্রমাণ মেলেনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement