তুহিন বিশ্বাসকে সংবর্ধনা। —নিজস্ব চিত্র।
সরানো হল নন্দীগ্রাম থানার আইসি-কে। এমনটাই জানা গিয়েছে জেলা পুলিশ সূত্রে। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ ওঠার পর নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইসি তুহিন বিশ্বাসের উপর। কিন্তু আচমকা কেন এই বদল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বিবাদের জেরেই আইসি-কে বদলি হতে হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই পদক্ষেপকে রুটিন বদলি বলেই দাবি করেছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পর নন্দীগ্রাম থানা এলাকায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। ঠিক সেই সময়েই ওই থানার ওসি-র মাথার উপর আইসি হিসাবে বসানো হয় তুহিনকে। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই তাঁকে সরানো হল। এ বার তাঁর জায়গায় আনা হচ্ছে সুমন রায়চৌধুরীকে। এমনটাই জানা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে। তুহিন আইসি-র দায়িত্বে আসার কিছু দিন পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার সুর চড়াতে থাকেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সম্প্রতি বিজেপি-র ডাকা বন্ধ তুলতে নিজেই ময়দানে নেমে পড়েছিলেন তুহিন। যদিও সেই অতীত ভুলে বৃহস্পতিবার তুহিনকে সংবর্ধনা দেন বিজেপিকর্মীরা। তাঁকে সংবর্ধনা দেন তৃণমূলকর্মীরাও। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তুহিনকে হাওড়া জিআরপি-তে বদলি করা হয়েছে।
নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের অভিযোগ, “এখানকার বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর বুলডোজার চালানোর জন্য এক জন আইসি-কে পাঠানো হয়েছিল। উনি কথায় কথায় মামলা করতেন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালানো থেকে মিথ্যা মামলা করা সবই উনি করেছেন। কিন্তু তার পরেও এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তুহিনকে বদলি করা হয়েছে। আবার নতুন এক জন আইসিকে এখানে পাঠানো হয়েছে। এঁরা রাজ্য সরকারের পুলিশ আধিকারিক। এঁদের উপর বিজেপি-র কোনও আস্থা নেই।’’ তুহিনকে সরানো নিয়ে প্রলয়ের ব্যাখ্যা, ‘‘নন্দীগ্রাম থানার আইসি তুহিন বিশ্বাস আসলে এখানকার দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের বিশেষ পাত্তা দিতেন না। এই কারণেই ওঁকে বদলি করা হয়েছে।’’
যদিও নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের মন্তব্য, ‘‘এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। কী কারণে থানার আইসি বদল হল তা আমার জানা নেই। তবে অযথা এর সঙ্গে রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না।”