Shootout At Kharagpur

প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীকে মারধর, শূন্যে চলল গুলি! ভোটের আগে উত্তেজনা খড়্গপুরে

খড়্গপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অঞ্জনা সাকরে জানান, সোমবার সকালে বাচ্চাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়। চোট লাগে পা, কোমরে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২:০৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীকে লাঠি-রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মারধরের পর শূন্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পা এবং‌ কোমরে গুরুতর আঘাত নিয়ে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাউন্সিলরের স্বামী। লোকসভা ভোটের আগে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে খড়্গপুরে।

Advertisement

প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অঞ্জনা সাকরে জানান, সোমবার সকালে সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়। আক্রান্ত যুবকও হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে জানান, বাইকে চেপে ফেরার সময় তাঁকে কয়েক জন রাস্তায় হাত দেখিয়ে দাঁড় করায়। তার পরেই তাকে মারধর শুরু করে। অভিযোগ, পা এবং কোমরে রড, লাঠি দিয়ে মারা হয়। তার পর শূন্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী। —নিজস্ব চিত্র।

কিন্তু কেন এই হামলা চালানো হল, এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক শত্রুতা আছে কি না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশও। খড়্গপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর অঞ্জনার স্বামী রঞ্জিতের কথায়, “কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। কেন এমন করল, তা-ও বলতে পারব না।” এই প্রসঙ্গে শহর তৃণমূলের সভাপতি সূর্যপ্রকাশ রাও বলেন, “খবর পাই রঞ্জিতকে মারধর করেছে, শূন্যে গুলি চালিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে দেখতে এসেছিলাম। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) ধৃতিমান সরকার বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Advertisement

মারধর এবং গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন খড়্গপুরের বিধায়ক তথা ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “শুনেছি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামীকে মারধর করে শূন্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। সত্যি লজ্জাজনক খবর।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “এলাকার বিধায়ক হিসেবে যত দিন এলাকায় ছিলাম দুষ্কৃতীরা মাথাচাড়া দিতে পারেনি। নির্বাচনের জন্য ঘাটালে যাওয়ার পরেই এমন ঘটনা। ওখান থেকে ফেরা মাত্র আবার শান্ত করে দেব। শান্তি ফিরে আসবে। এই রকম ঘটনা হতে দেব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement