রবিবার সকাল থেকেই দিঘার সৈকতে থিকথিকে ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।
একটানা তিন দিনের ছুটি। পুজোর মুখে সেই ছুটি উদ্যাপনে পর্যটকদের ঢল নামল সৈকত নগরী দিঘায়। সমুদ্রের ধারে থিকথিকে ভিড়। তিলধারণের জায়গা নেই হোটেলে। সব মিলিয়ে বাঙালির প্রধান উৎসবের ঠিক আগে, সৈকত নগরীতে ভরপুর উৎসবের আমেজ।
শনিবার দিনভর দিঘার আকাশ মেঘে ঢেকে থাকলেও বর্ষার দাপট সে ভাবে নজরে আসেনি। এর পরেই রাতের উত্তাল সৈকতে রীতিমতো ঢল নামল পর্যটকের। রবিবার সকাল থেকে এই ভিড় আরও বাড়ছে। যে হারে পর্যটকেরা নতুন করে দিঘায় ভিড় জমাচ্ছেন, তা দেখে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা যে, আসন্ন পূজোর মরসুমে দিঘা-সহ সৈকত নগরী আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করে দিঘায়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড়ের চেহারা আরও জমজমাট হয়ে ওঠে। সেই ছবিই ধরা পড়েছে রবিবারও। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। এ দিন গভীর নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। তবে দিঘায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সেই তুলনায় নগণ্য। দিনভর মেঘলা আকাশ ও মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টি হলেও খারাপ আবহাওয়া সে ভাবে আনন্দ, স্ফূর্তিতে দাগ কাটতে পারেনি।
পরিস্থিতি অনুকুল হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যার পর সৈকত জুড়ে পর্যটকের ঢল নামতে দেখা যায়। রাতের জোয়ারে সমূদ্রের উত্তাল ঢেউ দেখে উচ্ছ্বসিত পর্যটকেরা। থিকথিকে ভিড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে সপরিবারে দিঘা ঘুরতে আসা কলকাতার লেকটাউনের বাসিন্দা শ্রীময়ী রায় বলেন, “হাজার ব্যস্ততার মাঝে কয়েকটা দিনের ছুটি কাটানোর জন্য দিঘার বিকল্প কিছু হয় না। এর আগেও আমরা বহু বার দিঘায় এসেছি। তবে শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে দিঘার সমূদ্রে উত্তাল ঢেউয়ের আকর্ষণ কিছুতেই ভোলা যায় না।’’
দিঘা কোস্টাল থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকায় সমূদ্রে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। জোয়ারের সময় উত্তাল সমুদ্রে যাতে পর্যটকরা স্নানে নেমে না পড়েন, সে দিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হচ্ছে। নুলিয়া-সহ সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাশাপাশি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কর্মী ও পুলিশের টহলদারি ভ্যানও প্রতিনিয়ত সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেছে। মত্ত অবস্থায় কেউ যাতে সমুদ্রস্নানে না নামেন, সে বিষয়েও প্রতিনিয়ত সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।