মঙ্গলবার রাতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
এলাকাবাসীকে অস্থায়ী কর্মী পদে বহালের দাবিতে শাসক দলের আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী হাসপাতালের কর্মীদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ভবনগুলির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনস্থ সংস্থা ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশন লিমিটেড’ (ডব্লিউবিএমএসসিএল)। এই সংস্থার মাধ্যমে একটি সংস্থাকে তিন বছরের চুক্তিতে হাসপাতালের লিফট চালানো, বাতানুকূল যন্ত্র চালানো-সহ পুরো সিস্টেম চালু রাখার জন্য কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
সম্প্রতি হাসপাতালের শৌচাগার ও ওয়ার্ড পরিষ্কার করার জন্য এমএসসিএল-এর পক্ষ থেকে আরও একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের আপত্তিতে দ্বিতীয় সংস্থার সাফাই কর্মীরা কাজে যোগ দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। শাসকদলের একাংশের দাবি, স্থানীয়দের কাজে নিতে হবে। এই দাবিতে সোম ও মঙ্গলবার নয়াগ্রামে এমএসসিএল-এর অস্থায়ী কর্মীদের মারধর করা হয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ না-করায়, প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে যান। হাসপাতালের বাতানুকূল ব্যবস্থা, জেনারেটর এবং লিফট-সহ যান্ত্রিক ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অচলাবস্থা দেখা দেয়। চরম সমস্যায় পড়েন রোগীরা।
খবর পেয়ে রাতে নয়াগ্রামে যান ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝি। নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে কাজে ফেরেন কর্মীরা। তৃণমূলের নয়াগ্রাম ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “হাসপাতালের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তবে সে রকম গোলমাল হয়নি। আর ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।” নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু অবশ্য বলেন, “গায়ের জোরে তো কর্মী নিয়োগ হয় না। তার একটা পদ্ধতি আছে। আমরা সংস্থার কাছে আবেদন জানাব, যাতে অস্থায়ী কর্মী পদে স্থানীয়দেরও সুযোগ দেওয়া হয়।”