Lotus Price

পুজোর আগে পদ্মের বাজার চড়া

খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্য এবার পদ্মের উৎপাদন কিছুটা কম। তার উপরে ভারী বর্ষণের কারণে, বীরভূম এবং বর্ধমানের পদ্ম চাষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৯
Share:

কোলাঘাটের নহলা গ্রামে চলছে পদ্ম তোলা। ছবি: দিগন্ত মান্না।

পুজোর বাকি এখনও এক মাসের বেশি। এখন থেকেই ঊর্ধ্বমুখী পদ্মের দাম। ইতিমধ্যে খুচরো বাজারে প্রতিটি পদ্মের দাম ৮ টাকা ছুঁয়েছে। পুজোর সময় এই দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পদ্ম চাষিদের। বিষয়টি মাথায় রেখে তাঁরা এখনই হিমঘরে পদ্ম ফুল মজুত করছেন।

Advertisement

হাতে মাত্র আর পাঁচ সপ্তাহ। তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পদ্ম ছাড়া দুর্গাপুজো কার্যত অসম্পূর্ণ। সারা বছর পদ্মের বিকিকিনি চললেও বছরভর দুর্গাপুজোর বাজারের দিকে তাকিয়ে থাকেন পদ্ম চাষিরা। কারণ, বছরের এই সময় পদ্ম ফুল বিক্রি করে তাঁদের সর্বোচ্চ আয় হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের একটা বড় অংশে এবং নন্দকুমার ব্লকের একাংশে পদ্ম চাষ হয়। মূলত, ১৬ নম্বর ও ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাউর থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত অংশে রেলের নয়ানজুলিগুলি এই কাজে ব্যাবহার করা হয়।

খামখেয়ালি আবহাওয়ার জন্য এবার পদ্মের উৎপাদন কিছুটা কম। তার উপরে ভারী বর্ষণের কারণে, বীরভূম এবং বর্ধমানের পদ্ম চাষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে পদ্মের জোগানে ভাটা দেখা দেওয়ায় এখনই চড়েছে দাম। অন্য বছর দুর্গাপুজোর সময় এক একটি পদ্ম ৮ থেকে ১০ টাকায় দরে বিক্রি হয়। এবার পুজোর বাকি এখনও ৩৭ দিন। এখনই পদ্মের দর ছুঁয়েছে ৮ টাকা। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। ওই সময়ও পদ্মের চাহিদা থাকে। বিশ্বকর্মা পুজোর বাজার ধরতে ইতিমধ্যে পদ্মচাষিরা হিমঘরে পদ্ম মজুত করতে শুরু করেছেন।দাম বেশি মেলায় খুশি পদ্ম চাষিরা। কোলাঘাটের নহলা গ্রামের পদ্ম চাষি মোহন মাইতি বলেন, ‘‘১০ বিঘা জমিতে পদ্ম চাষ করেছি। প্রতিদিনই পদ্ম ফুটছে। এবার পদ্মের দাম বেশ ভাল। পুজোর অনেক আগেই এবার পদ্ম থেকে ভাল আয় হচ্ছে।’’

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফুল সংরক্ষণের একমাত্র সরকারি হিমঘর রয়েছে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে। সেটি চার বছর ধরে বন্ধ। ফলে সরকারি হিমঘরের বদলে মেচগ্রামের বেসরকারি হিমঘরে চাষিরা পদ্ম রাখছেন। যা খরচ সাপেক্ষ। ‘সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি’র সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘পাঁশকুড়ায় ফুল সংরক্ষণের হিমঘরটি চালু হলে কম খরচে ফুল সংরক্ষণ করা যাবে। তাতে ফুলের দরও কম থাকবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement