পাউরুটির মূল্যবৃদ্ধির জেরে কাঁথির রুটি বেকারিগুলি টানা ১৭দিন ধরে বন্ধ। ময়দার মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে কাঁথির বেকারি মালিকরা পাউরুটির দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু বেকারি লাইন্সম্যান ইউনিয়ন বর্ধিত দামে পাউরুটি কিনতে নারাজ। আর বেকারি মালিক আর বেকারি লাইন্সম্যানদের বিবাদের জেরে গত ১১ নভেম্বর থেকে কাঁথি শহর জুড়ে পাউরুটির বিক্রি বন্ধ। পরিস্থিতি সামলাতে দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক হলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
কাঁথি মহকুমা বেকারি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক অনিল পাল জানান, পাউরুটি সহ বেকারি জাত সামগ্রী তৈরির প্রধান উপকরণ ময়দা। আর ওই ময়দা-সহ অন্যান্য জিনিসের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়লেও পাউরুটির দাম বাড়েনি। পুরনো দরে পাউরুটি বিক্রি করতে গিয়ে কাঁথির বেকারি মালিকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। অনিলবাবুর কথায়, ‘‘ক্ষতি সামলাতে বেকারিজাত পাউরুটি, কেক ও বিস্কুটের দাম বাড়ানো হয়েছে। বেকারি লাইন্সম্যানরা বর্ধিত দামে পাউরুটি বিক্রি না করায় কাঁথিতে পাউরুটি বিক্রি বন্ধ।
অন্য দিকে, কাঁথি মহকুমা বেকারি লাইন্সম্যান ইউনিয়নের সভাপতি অতনু গিরি বলেন, “বেকারি লাইন্সম্যানরা পাউরুটির মূল্যবৃদ্ধির বিপক্ষে নন। কাঁথি শহর-সহ মহকুমার সর্বত্র একই দামে পাউরুটি বিক্রি হোক। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, মহকুমার অন্যান্য জায়গার তুলনায় কাঁথি শহরে ডজন পিছু পাউরুটির দাম কম করেও দশ টাকা বেশি।” ফলে কাঁথির বেকারি লাইন্সম্যানরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অতনুবাবুর দাবি, ‘‘আমরা চাই কাঁথি মহকুমার সর্বত্র এক দামে পাউরুটি বিক্রির ব্যবস্থা করুক
বেকারি মালিকরা।’’
এই জটিলতা কবে কাটবে, অপেক্ষায় কাঁথির বাসিন্দারা।